সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। শ্যামবাজারে তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাঁর গাড়িতেও ব্যাপক হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় কোনওক্রমে গাড়িতে উঠে এলাকা ছাড়েন অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের কাছে এই ঘটনা নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ঋতুপর্ণা।
এবার ঋতুপর্ণাকে হেনস্তার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল টুইট করে লেখেন, ''ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত গিয়েছিলেন প্রতিবাদীদের সঙ্গে সামিল হতে।
তাঁকে শ্লোগান দিয়ে, কুকথা বলে, অপমান করে, কার্যত লাঞ্ছনার মধ্যে ফেলে তাড়ানো হল। কারা করল? সাধারণ নাগরিকসমাজ এটা করতে পারেন না। ন্যায্য আবেগের আড়ালে কারা অন্যায্য আচরণে অরাজকতা ছড়াতে চায়? নজর রাখুন। সচেতন থাকুন।''
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, ”এই আন্দোলনে (RG Kar Protest) আমি সেলিব্রিটি হয়ে যাইনি । আমি যখন যাই, তখনও কিছু হয়নি। মোমবাতি জ্বালাই। অভয়ার আত্মার শান্তি কামনা করি। শুনেছিলাম অভয়ার মা-বাবা আসবেন এই রাত দখলে। তখন কিছু লোক আশপাশে আমাকে ঘিরে ধরে। তাঁরা কিন্ত স্লোগান দেয়নি । ওখানে কিছু কলেজের পড়ুয়ারাও ছিল। যাঁরা মাইকে বলছিল ঋতুদিকে কিছু বলতে দিন। তার মাঝেই কয়েকজন সাংবাদিক প্রতিক্রিয়ার জন্য আমার কাছে আসে। সেই মুহূর্তেই হঠাৎ একদল লোক আমার দিকে রীতিমতো তেড়ে আসে। ‘গো ব্য়াক’ স্লোগান দিতে শুরু করে। এমন ধাক্কা দিল যে আমি পড়ে গেলাম। আমারে পাশে রাতাশ্রীও ছিল, সে আমার উপর পড়ে গেল। কিছু সাংবাদিকও পড়ে গেল। এটা কি প্রত্যাশিত ছিল? আমি তো একবুক সমবেদনা এবং বিচারের দাবি জানিয়ে সকলের সঙ্গে শামিল হতে গিয়েছিলাম। আমার নতুন গাড়িতে জোরে মেরেছে ওরা, গাড়ির কিছু জায়গা ভেঙে গিয়েছে। আমি মাঝে বললাম, যে আমার কথা আপনারা শুনুন! কিন্তু কেউ শুনল না। আরও জোরে স্লোগান দিতে শুরু করল। ওই একদল লোক মদ্যপ ছিল!”
ঋতুপর্ণা আরও বলেন, ”আপনারা দেখবেন, গত ১৫ দিন আমি এতটাই মর্মাহত ছিলাম যে, কোনও ব্যক্তিগত ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করিনি। অ্যাকটিভই ছিলাম না তেমন। আমরা এই আন্দোলন কনস্ট্রাকশনের বদলে ডিকনস্ট্রাকসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ভুলে যাচ্ছি আমাদের এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য কি। আমি এবং আমরা সকলেই চাই, দ্রুত অভয়া বিচার পাক। একটা নারীর সম্মানের বিচার চাইতে গিয়ে আরেক নারীকে হেনস্তা করে অসম্মান করায় কী বীরত্ব রয়েছে?”