অভয়ার সুবিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলার বুকে ১৭ দিন ধরে চলা অনশন অবশেষে প্রত্যাহার। সোমবার বিকেলে নবান্নে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জুনিয়ররা। বিস্তারিত সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে।
রাত ৯.৫২: বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি বলে ইঙ্গিতে দাবি করেও অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দেবাশিস হালদার জানালেন, অভয়ার পরিবারের আর্জি ও সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি প্রত্যাহার করে নিলেন আগামিকালের স্বাস্থ্য ধর্মঘটও। তবে শনিবার আর জি করে রয়েছে মহা কনভেনশন। অর্থাৎ রয়েছে আন্দোলন জারি থাকবে।
রাত ৯.৫০: তবে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সময়সীমা ঘোষণা হওয়ায় খুশি আন্দোলনকারীরা। বললেন, "এটা আমাদের জয়। আমরা পেরেছি জয় ছিনিয়ে আনতে।"
রাত ৯. ৪৫: সরকারের শরীরি ভাষা আমাদের ভালো লাগেনি, মন্তব্য দেবাশিসের। তিনি দাবি করলেন, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ব্যাচ খুলে ঢুকতে হয়েছে।
রাত ৯.৪১: "লাইভ স্ট্রিমিং হবে জানতাম না। আমরা যতবার আমাদের কথা বলতে চেয়েছি, আমাদের থামিয়ে দেওয়া হয়েছে," বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন দেবাশিস হালদার।
রাত ৯.২০: ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে নির্যাতিতার বাবা-মা। এদিকে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক।
সন্ধে ৮.৩০: ধর্মতলায় ফিরেই বৈঠকে বসলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শোনা যাচ্ছে, আগামিকাল বিকেল ৩ টে পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সমস্যা সমাধানের লিখিত প্রতিশ্রুতি পেলে তার পর অনশন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। তবে ক্ষেত্রে আগামিকালের স্বাস্থ্য ধর্মঘট নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে, তা এখন দেখার।
সন্ধে ৮.১০: ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে পৌঁছলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
সন্ধে ৭.০৮: বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৪৫ মিনিটের। ৫ টায় শুরু হয়ে সেই বৈঠক শেষ হল সন্ধে ৭ টা বেজে ০৮ মিনিটে। এবার কী পদক্ষেপ করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা? সেদিকেই তাকিয়ে সবমহল।
সন্ধে ৭.০১: অনশনকারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করতেই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, "আমি দিনের পর দিন আন্দোলন করেছি। অনশন করেছি। কেউ আসেনি। আমি তোমাদের ভালোবাসি, তাই বারবার কথা বলছি।" পাশাপাশি তিনি জানান, কুলতলির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার আছে। আজকের বৈঠক এখানেই শেষ হোক। এর পরই এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, "আন্দোলন আপনার থেকেই শিখেছি।"
সন্ধে ৬.৫৭: মু্খ্যমন্ত্রী সাফ জানালেন, কলেজ সংক্রান্ত যা অভিযোগ তা জানাতে হবে টাস্ক ফোর্সে। এর পরই জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন, কলেজস্তরে র্যাগিংয়ের অভিযোগ এলে কে খতিয়ে দেখবে? অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি নাকি টাস্ক ফোর্স?
সন্ধে ৬.৫০: এ দিনের বৈঠকে প্রতি কলেজে মোট ৫ টি কমিটি তৈরির (অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটি, গ্রিভান্স সেল, টাস্ক ফোর্স, কলেজ লেভেল কমিটি, কলেজ মনিটরিং কমিটি ) দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের। রয়েছে স্টেট টাস্ক ফোর্সের মতো কলেজে একটি কমিটি গঠনের দাবি। যারা ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পারবেন। পালটা মমতার প্রশ্ন, তোমরা একটা কলেজে কটা কমিটি চাও?
সন্ধে ৬.৪০: মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, একদিনে সমস্ত দাবি পূরণ সম্ভব নয়। এর জন্য সময় ও টাকা, দুটোই প্রয়োজন। তবে ধাপে ধাপে দাবি পূরণ হবে।
সন্ধে ৬.৩৮: আন্দোলনকারী ছাত্রীর কথায়, টাস্ক ফোর্স কী কাজ করছে, সে সংক্রান্ত তথ্য তাঁদের কাছে নেই। টাস্ক ফোর্সে সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিকে রাখার দাবি জানালেন দেবাশিস। মুখ্যসচিব জানিয়ে দিলেন তাতে থাকবেন ৯ সদস্য।
সন্ধে ৬. ৩২: ডাক্তারদের আন্দোলনেই ভোগান্তিতে আমজনতা। বাড়ছে স্বাস্থ্যসাথীর খরচ, এটা অপরাধ নয়? প্রশ্ন তুললেন মমতা। বললেন, "ডাক্তারদের অনশনের জন্য রাজ্যের খরচ হয়েছে ৪৫০ কোটি।"
সন্ধে ৬.২০: অনশন তুলে জুনিয়রদের কাজে ফেরার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর। বললেন, 'ঘরের দরজা বন্ধ করো, মনের দরজা নয়'।
সন্ধে ৬.১৮: রোগী কল্যাণ সমিতিতেও থাকবে জুনিয়র ডাক্তাররা, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন হবে বলেও জানালেন তিনি।
সন্ধে ৬.১২: নাম না করে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন কিঞ্জল, অনিকেতরা। কলেজ চত্বরে তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ তুললেন তাঁরা। পালটা দিলেন মমতা। স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। এর পরই অনিকেত বলেন, আপনার যদি মনে হয় যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তারা নির্দোষ, কাউন্সিল ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাহলে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে পারেন।
সন্ধে ৬.০৮: অনিকেত জানালেন অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাতে মোটেই খুশি নন মমতা। বললেন, "আপনারা চাইলেই সব কিছু করতে পারেন না। সরকার বলে একটা পদার্থ আছে। সব কিছুর একটা সিস্টেম আছে। যাকে পছন্দ হল না সরিয়ে ফেললাম, এটা হতে পারে না।"
সন্ধে ৬.০৭: থ্রেট কালচার নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ খতিয়ে না দেখে সাসপেন্ড করা কেন? প্রশ্ন তুললেন তিনি। বললেন, ‘‘আর জি করের প্রিন্সিপাল ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করলেন। কিন্তু কেন? কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না? এটা থ্রেট কালচার নয়?’’
সন্ধে ৬.০১: মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সুস্থ পরিবেশ তৈরি নিয়ে আন্দোলনকারী কিঞ্জল নন্দের সঙ্গে সহমত বলেই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিকেল ৫.৫৭: মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "কিছু মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ও এমএসভিপি রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন, আমি এ বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সহমত। কিন্তু সকলে সারাজীবন এক জায়গায় চাকরি করেন না, বদলিটাই নিয়ম। এটা তাদের মাথায় রাখতে হবে। আর আপনাদের এটা বুঝতে হবে, সব নিয়োগ সবসময় আমাদের হাতে থাকে না।"
বিকেল ৫.৫৫: জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়োগের দাবি নিয়ে মুখ্যসচিব বললেন, আইনি জটিলতার কারণে এই মুহূর্তে নিয়োগ সম্ভব নয়।
বিকেল ৫.৪৮: জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি শোনার পর নিজেদের বক্তব্য পেশ করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জানালেন, ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে যাতে নিরাপদ পরিবেশ থাকে, তারাও সেটাই চান। ইতিমধ্যেই রাজ্য টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে বলেও জানালেন তিনি।
বিকেল ৫.৪৫: বৈঠকের মাঝেই জুনিয়র ডাক্তারদের চা খেতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিকেল ৫.৪৩: কিছু মানুষ নিজেদের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে UG ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি।
বিকেল ৫.৩৮: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে সরব হলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ রয়েছে। আপনি প্রমাণ চেয়েছেন। স্যরের হাত দিয়ে বেশ কিছু চিঠি বেরিয়েছে।’’ মমতা বলেন, ‘‘একটা মানুষ অভিযুক্ত কি না, প্রমাণ না পেলে তাঁকে অভিযুক্ত করা যায় না।’’ তাঁর সাফ কথা, নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ বাদে বাকি কথা শুনবেন তিনি।
বিকেল ৫.৩০: শ্লীলতাহানি, যৌনহেনস্তা, তোলবাজির মতো ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় মেডিক্যাল ছাত্র-ছাত্রী দের। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর জি করের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরলেন অনিকেত মাহাতো। তাঁর অভিযোগ, একাধিকক্ষেত্রে অভিযোগ জানানোর জায়গা থাকে না। কখনও আবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয় না। ফলে সমস্যা বাড়ে। মূলত ছাত্রীদের প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়।
বিকেল ৫.২৯: ধর্মতলায় বসে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে চোখ অনশনকারীদের।
বিকেল ৫.২৭: থ্রেট কালচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানালেন কিঞ্জল নন্দ। ১৫ আগষ্ট রাতের অশান্তির ঘটনায় ধৃতদের কেন ছেড়ে দেওয়া হল, তা জানতে চাইলেন তিনি।
বিকেল ৫.২২: প্রতিবছর আরডিএ ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি আন্দোলনকারীদের। কলেজস্তরে গ্রিভান্স সেল তৈরির দাবিও জানান তাঁরা। স্টেক হোল্ডার সমিতি, রোগী কল্যাণ সমিতির কাজ কী, দায়িত্ব কী, তা বিস্তারিত জানতে চাইলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
বিকেল ৫.২০: সমস্ত কমিটিতেই রাখতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের নির্বাচন প্রতিনিধিদের, আবারও তা জানালেন চিকিৎসক হিমাদ্রিশেখর বেরা।
বিকেল ৫.১২: নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীনভাবে কলেজ পরিচালনার জন্য লেভেল মনিটরিং কমিটি তৈরির ক্ষেত্রেও সিলেকশান পদ্ধতিতে যেতে রাজি নয় তাঁরা। কমিটির মেম্বারদের হতে হবে নির্বাচিত। বললেন দেবাশিস হালদার।
বিকেল ৫.১০: আর জি কর কাণ্ড হয়েছে প্রতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা, বৈঠকের শুরুতেই বললেন দেবাশিস।
বিকেল ৫.০৭: মুখ্যমন্ত্রীর সামনে নিজেদের ১০ দফা দাবি পেশ করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। টাস্ক ফোর্সে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি রাখার দাবি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কলেজগুলোতে একটি মনিটরিং কমিটি চায় জুনিয়র ডাক্তাররা। থাকবেন অন্যান্যরাও।
বিকেল ৫.০৪: শুরুতেই আন্দোলনকারীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিকেল ৫.০১: অনুমতি পেলেন ১৭ জনই। নবান্নে শুরু মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। জুনিয়র ডাক্তাররা ছাড়াও আছেন মেডিক্যালের সুপার ও প্রিন্সিপালরা। হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিংও।
বিকেল ৪.৪৫: নবান্ন চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়েছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে হবে বৈঠক। কিন্তু গিয়েছেন ১৭ জন আন্দোলনকারী। কিন্তু সকলকে কি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে? তা নিয়ে চলছে বৈঠক।
বিকেল ৪.৩২: সঙ্গে অভিযোগের ফাইল। নবান্নে পৌঁছলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
বিকেল ৪.২১: নবান্নের উদ্দেশে রওনা দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
বিকেল ৪.১৫: জুনিয়র ডাক্তাররা বাসে ওঠার সময় শঙ্খ বাজালেন জমায়েতকারীরা।
বিকেল ৪.১২: রওনা দেওয়ার আগে দেবাশিস বললেন, তাঁরা কয়েকটি ফাইল নিয়ে যাবেন। তাঁর কথায়, 'আমাদের দাবি ছিনিয়ে আনব।' জানালেন, তাঁরা ১৭ থেকে ১৮ জন যাবেন।
বিকেল ৪.১০: ধর্মতলায় পৌঁছেছে বাস। আর কিছুক্ষণেই নবান্নের পথে রওনা দেবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
দুপুর ২.৩০: শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলে থাকবেন অনিকেত মাহাতো, কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার, অর্ণব চৌধুরী-সহ অন্যান্যরা।
দুপুর ২.০১: নবান্ন থেকে আগেই জানানো হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ জন প্রতিনিধিদের নিয়ে হবে বৈঠক। কারা যাবেন নবান্নে? তা ঠিক কী করতে ফের বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা।