গোবিন্দ রায়: ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। সেই মিছিলে লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। রবিবারের এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করলেন স্বপন দাশগুপ্ত। বিজেপি নেতার আবেদন, পুলিশি 'জুলুমের' প্রতিবাদে মিছিল করার অনুমতি দিক আদালত। নিজের আবেদনে বিজেপি নেতা আরও জানিয়েছেন, ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ফুটবলপ্রেমীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার পরে আর খোঁজ মিলছে না ওই ফুটবলপ্রেমীদের। জানা গিয়েছে, সোমবারই এই মামলার শুনানি হবে উচ্চ আদালতে।
[আরও পড়ুন: সব ম্যাচই ‘ফাইনাল’ মহামেডানের, সুপার সিক্সের লক্ষ্যে এরিয়ানের মুখোমুখি সাদা-কালো ব্রিগেড]
রবিবার ছিল ডুরান্ড কাপের ডার্বি। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গ্যালারিতে ‘প্রতিবাদী’ টিফো নামানোর পরিকল্পনা করে দুই প্রধান মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা। এর মাঝেই আচমকা শনিবার দুপুরে বাঙালির বড় ম্যাচ বাতিল করে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। তবে ফুটবলপ্রেমীরা সিদ্ধান্ত নেন, ডার্বি না হলেও শহরের রাজপথে প্রতিবাদ জারি রাখবেন তাঁরা। সেই মতোই রবিবার বিকেলে যুবভারতীতে জমায়েত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও যুবভারতী চত্বরে ১৬৩ ধারা ঘোষণা করে পুলিশ। প্রতিবাদী জনতার উপরে লাঠি চালানোর অভিযোগও ওঠে। ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। লাঠিচার্জের মুখে পড়ে এক মোহনবাগান সমর্থক আহত হন।
গোটা ঘটনায় ক্ষিপ্ত বিজেপি নেতা তথা ইতিহাসবিদ স্বপন দাশগুপ্ত। ফুটবলপ্রেমীদের উপর পুলিশি আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করে তিনি সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। বিজেপি নেতার মতে, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ফুটবলপ্রেমীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। তার পর থেকে ফুটবলপ্রেমীদের খোঁজ মিলছে না। এছাড়াও ফুটবলপ্রেমীদের উপরে পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করতে চেয়ে আবেদন করেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মিছিল করতে চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন এখনও গ্রাহ্য হয়নি। জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ১২টার সময়ে বিজেপি নেতার আর্জি শুনবে কলকাতা হাই কোর্ট।