সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে একের পর এক মিছিল দেখছে শহর। সেই প্রতিবাদকে সঙ্গে নিয়েই এবার গান বাঁধলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। গানের কথায় সিবিআইকে বিঁধলেন তিনি।
''এই দাবানল ছড়িয়ে পড়ুক
স্লোগান ভরা মিছিল চাই।
ঘড়ির সময় যাচ্ছে চলে
বিচার দাও সিবিআই''
গানের শুরুতে কুণাল ঘোষ বললেন, ''আমি গায়ক নই, আমি গান শুনি। কিছু লেখালেখি করি। তার মধ্যে দুএকটা গান লিখেছিলাম। কিছু লোক গেয়েও ছিলেন। গানা ডট কমে পাওয়া যাবে। চলতি পরিস্থিতিতে একটা চেষ্টা করলাম। দেখবেন। পেশাদার গায়কদের মতো, গুণগত বিচার করবেন না। আমি গায়ক নই।''
[আরও পড়ুন: ‘এই বাংলাই দেখতে চেয়েছিলাম’, ন্যায়বিচারের দাবিতে বাংলার প্রতিবাদী সত্ত্বায় ‘স্বপ্নপূরণ’ মিঠুনের]
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) সম্প্রতি গান বেঁধেছিলেন জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং, 'আর কবে?'। প্রতিবাদে মিছিলে সেই গান একেবারে সুপারহিট। কয়েকদিন আগে অরিজিতের সেই গানকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় স্পষ্ট লিখেছিলেন, ''অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভালো। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি। কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে। কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগত, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?” কুণাল ঘোষের সেই পোস্ট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় নেটপাড়ায়। আর এবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নিজেই গান বাঁধলেন কুণাল। অরিজিতের গানের মতোই, কুণালের গানেও 'আর কবে?' প্রশ্ন।
''আর কবে, আর কবে, আর কবে,
চোখ খুলে, মন খুলে গান হবে...
আর কবে, আর কবে, আর কবে,
রং না বেছে, দল না বেছে গান হবে।
আর কবে আর কবে আর কবে...
হিন্দিতেও প্রতিবাদী গান হবে।''
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। ওই রাতেও মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। তার পরই সব শেষ। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে গত ১৩ আগস্ট থেকে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার (RG Kar Incident) তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই ঘটনা সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে এখনও পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বেশ কয়েকজনের পলিগ্রাফ টেস্টও হয়েছে। তবে তদন্তভার নেওয়ার পর নতুন করে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই। কবে তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলবে? কবে সুবিচার পাবেন সদ্য সন্তানহারা বাবা-মা? এমন একাধিক প্রশ্নে আপাতত মুখর মহানগরী।