বিশেষ সংবাদদাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের মৃত্যুর প্রতিবাদে নাট্যকর্মী স্ত্রী মধুরিমা গোস্বামী যখন পথে নেমে প্রতিবাদ করছেন, এমনকী রবিবাসরীয় মহামিছিলের পয়লা সারিতে দাঁড়িয়ে দৃঢ় কণ্ঠে রাষ্ট্রের কাছে নারী নিরাপত্তার দাবি তুলে জবাব চেয়েছেন, তখন অনির্বাণ ভট্টাচার্যের (Anirban Bhattacharya) 'নীরবতা' নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কাটাছেঁড়ার অন্ত নেই। একাধিকবার যার জেরে কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে অভিনেতাকে। এবার সেই বিষয়েই সাফ কথা বললেন মধুরিমা (Madhurima Goswami)।
আর জি কর কাণ্ডে শিল্পীমহলের প্রতিবাদ নিয়ে যখন নেটপাড়ার একাংশ নিত্যদিন কটাক্ষ করে যাচ্ছে, তখন নিন্দুক-সমালোচকদের কাঁচকলা দেখিয়ে বারবার সিনেমাপাড়ার সদস্যরা কলকাতার রাজপথে নেমে তিলোত্তমার বিচার চাইছেন। চোখে আঙুল দিয়ে নিন্দুকদের দেখিয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা দমে যাওয়ার পাত্রপাত্রী নন!
প্রতিটি প্রতিবাদী মিছিলে সমবেতস্বরে একটা ধ্বনি- 'জাস্টিস ফর আর জি কর।' টলিউডের প্রবীণ-নবীন প্রজন্ম একজোটে পথে নামছেন নিত্যদিন। তবে এমতাবস্থায় আর জি কর কাণ্ডে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের (Anirban Bhattacharya) তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া না আসায় অনেকের কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। টলিউড প্রযোজক রানা সরকারই 'খোকা নিখোঁজ' বলে আক্রমণ করেছিলেন। তাতে সায় দেওয়া নেটিজেনের সংখ্যাও নেহাত কম নয়! কেন এই ইস্যুতে 'চুপ' অনির্বাণ? রবিবারের মহামিছিল থেকেই স্পষ্ট জবাব দিয়ে দিলেন নাট্যকর্মী স্ত্রী মধুরিমা গোস্বামী।
[আরও পড়ুন: জয়ললিতা, ইন্দিরা গান্ধীর পর মমতার চরিত্রে অভিনয় করবেন কঙ্গনা! কী বলছেন বিজেপি সাংসদ?]
নাট্যকর্মী তথা অভিনেত্রীর কথায়, তিনি নিজের লড়াই লড়তে নেমেছেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বলেই ব্যক্তিগতভাবে পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। প্রত্যেকের প্রতিবাদের ভাষা ভিন্ন। মধুরিমা মনে করেন, তিনি পথে নেমেছেন বলে সকলকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হবে এমনটা নয়। তিনি কাউকে দেখে রাস্তায় নামেননি। বরং এই কঠিন পরিস্থিতিতে উচিত বলে ঠেকেছে, তাই শামিল হয়েছেন এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যের প্রতিবাদের ভাষা সম্পর্কে তাঁর জানা নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। তাঁর সংযোজন, "শিল্পীরা যা-ই করছেন, তাতেই কটাক্ষ করা হচ্ছে। তাতে লাভ নেই। আমরা আমাদের কাজ করে যাব।"
সংবাদ প্রতিদিনকে মধুরিমা গোস্বামী জানান, "আমি মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানাব, কেন ঘটনার এতদিন বাদেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না? কী করছে সিবিআই? এর আগেও সিবিআইয়ের হাতে অনেক কেস গিয়েছে। এখন সকলের ধারণা হয়েছে সিবিআই মানেই কেস সেটিং হয়ে গিয়েছে। কেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সম্পর্কে এহেন ধারণা হবে?"