সুব্রত বিশ্বাস: বীরভূমের চাল চলল আফ্রিকা মহাদেশ। বিশ্বের বাজারে রাজ্যের চাল পৌঁছে দিতে প্রাথমিকভাবে এগিয়ে এল রেল। রবিবার সাঁইথিয়া থেকে হলদিয়া বন্দরে ২,০৮০ টন চাল নিয়ে রওনা হল ৮০টি কন্টেনার। এই পর্যায়ে হাওড়া ডিভিশনে নতুন এক ইতিহাস রচনা হল। কী সেই ইতিহাস?
হাওড়ার সিনিয়ার ডিসিএম রাজীব রঞ্জন বলেন, “এই প্রথম হাওড়া ডিভিশন থেকে কন্টেনারে পরিবহণ শুরু হল। সাঁইথিয়ার রাইস মিলগুলি ট্রেনের মাধ্যমে চাল পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করে। রাইস মিলগুলি থেকে এই মুহুর্তে আফ্রিকার দেশগুলিতে চাল পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই চাল তাড়াতাড়ি পাঠানোর উদ্দেশ্যে রেল পরিবহণ প্রথম পছন্দ।” মোট আশিটি কন্টেনারে ২,০৮০ টন চাল নিয়ে হলদিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে এদিন রওনা দিল ট্রেনটি। এজন্য রেলের আয় হয়েছে ন’লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন : ক্ষতির আশঙ্কা! অনুমতি সত্বেও পুজোয় খুলছে না হাওড়া-শিয়ালদহের ফুড প্লাজা]
কোভিড পরিস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়া রেল পণ্য পরিবহণে জোর দেয়। হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশন রাজ্যের উৎপাদিত চাল, আলু, সবজি ভিন রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়। বিষয়টা ততটা সোজা ছিল না। কারন, রাইস মিল ও কোল্ড স্টোরগুলি সড়ক পথে পণ্য পরিবহণ করে থাকে বরাবর। রেলপথে কম সময় লাগলেও তাঁরা আগ্রহী ছিলেন না পণ্য গুডস সেড পর্যন্ত পৌঁছানো ও পৌঁছনোর পর সেখান থেকে গোডাউন পর্যন্ত পরিবহণে বাড়তি খরচের আশঙ্কায়। এই পরিস্থিতিতে রেল কমার্সিয়ার সুপারভাইজার, টিটিই, বুকিং ক্লার্কদের মার্কেটিংয়ের কাজে নামান। এই কর্মীরা অসংখ্য রাইস মিল, কোল্ড স্টোর ঘুরে ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের ছাড় দিয়ে তাঁদের আগ্রহী করে তোলেন। এরপর বর্ধমানের চাল ত্রিপুরা রওনা দেয় ট্রেনে। এবার দেশের গণ্ডি ছড়িয়ে সুদূর বিদেশে বীরভূমের চাল চলল আফ্রিকা মহাদেশে।