সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে মারাত্মক কটাক্ষের শিকার মধুমিতা সরকার। নেটপাড়ার একাংশ তো বটেই এমনকী সিনেজগতের 'সতীর্থ' ঋদ্ধি সেনের তোপের মুখেও পড়তে হল অভিনেত্রীকে। আসলে, ভারতবর্ষ বানানটাই ভুল লিখেছিলেন মধুমিতা।
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ, খুন কাণ্ডে যেখানে গোটা রাজ্য উত্তাল। বাংলার আন্দোলন ছড়িয়েছে বাইরেও। যেখানে মহিলাদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা না থাকার কারণে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসকে 'কালো' দিন বলে দাবি করছেন অনেকে, সেই পরিস্থিতিতে নায়িকার এমন ফটোশুট দেখে নেটপাড়ায় একাংশ ভ্রু আন্দোলিত করেছে। সেই আবহেই তীব্র কটাক্ষ করলেন ঋদ্ধি সেন। মধুমিতা সরকারের পোস্টের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, "তাঁর স্বাধীনতা ‘দিবেস’? ভারতবর্ষ বানান লিখতে জানে? ঘেন্না ধরে গেল। ন্যূনতম লজ্জা, শিক্ষা আর বোধ মুছে গেছে এই বিনোদন জগতের বহু কর্মীর মধ্যে থেকে। রক্তে মাখা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস পেরিয়ে আজ ৭৮তম বছরে পৌঁছেও রক্তের দাগ মুছে ফেলা যাচ্ছে না। যে রাজ্যে এক ডাক্তারের সাদা পোশাক ভেসে গেলো রক্তে সেই রাজ্যে এদের মতো অশিক্ষিত ব্যক্তি সাদা পোশাক পরে ওড়না উড়িয়ে দন্ত বিকশিত করে ভুল বানানে স্বাধীনতা দিবস পালন করার অভিনয় করছে।"
[আরও পড়ুন: RG Kar: ‘কলকাতা আর সিটি অফ জয় নেই’, বিস্ফোরক নুসরত! ‘বোন ন্যায় পাবেই’, নিরবতা ভাঙলেন সোহম]
ঋদ্ধির সংযোজন, "এরা কোনও দিনই শিল্পী ছিল না। ছিল না অভিনেতা। অভিনয় শিল্পর সঙ্গে যুক্ত থাকতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন সামাজিক সংযোগ, প্রয়োজন শিক্ষা। সমাজ , ইতিহাস, শিক্ষা, এই শব্দগুলো এদের কাছে ভিনগ্রহী, অভিনয় মানে ভান করা নয়, অভিনয় মানে নিজের সর্বস্ব দিয়ে সত্যিটা কে খুঁজে বার করা। ভান করে অভিনয় হয় না। অভিনয়ের অন্য অর্থ সত্যকে উন্মোচন করা।" মধুমিতাকে 'অশিক্ষিত শিল্পী' বলে তোপ দেগে ঋদ্ধির মন্তব্য, "এরা জানে শুধু ভান করতে, এরা সারাজীবন শুধু ভান করে যেতে শিখেছে, অভিনেতা হিসেবে ভান করেছে, শিল্পী হিসেবে ভান করেছে, নাগরিক হিসেবে ভান করেছে, এমনকি মানুষ হিসেবে ভান করেছে। এরা আমাদের পেশায় কলঙ্ক। স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বলার আগে নিজের ভণ্ডামি আর অশিক্ষা থেকে স্বাধীন হন, আমাদের কর্মক্ষেত্রও স্বাধীনতা চায় আপনাদের মতো অশিক্ষিত শিল্পীর কাছ থেকে।" যদিও সেই পোস্ট আধঘণ্টার মধ্যেই তুলে নিয়েছেন অভিনেতা। এখন সোশাল মিডিয়ায় পোস্টের কোনও অস্তিত্বই নেই। তবে স্ক্রিনশটে ছয়লাপ সোশাল মিডিয়া।