সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি দলের বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাঁর বেড়ে ওঠার প্রতিটি ধাপে রয়েছে লড়াই। আর সেই লড়াই খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন বলেই রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরতে পারলেন। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই পেয়েছিলেন ম্যাচের সেরার খেতাব। আয়ারল্যান্ডের (Ireland) বিরুদ্ধে ইতিহাস গড়ে দেশে ফেরার পর এবার নিজের বাবা-মাকে দারুণ সম্মান জানালেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) তরুণ তুর্কি। তাঁদের গায়ে তুলে দিলেন ভারতীয় দলের জার্সি। সেই ছবি আবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) তারকা।
ইনস্টাগ্রামে রিঙ্কু লিখেছেন, ‘যাঁদের কারণে এই সবকিছু শুরু হয়েছে, যেখান থেকে সবকিছু শুরু হয়েছে।’ ছেলের এই সাফল্যের নেপথ্যে তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছিল। আর সেজন্য টিম ইন্ডিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডেবিউ করার পর রিঙ্কু বলেছিলেন, ‘আজ আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ হল।’ আর এবার আয়ারল্যান্ড সিরিজ জিতে বাড়ি ফেরার পর বাবা-মায়ের জন্য তিনি অমূল্য একটি উপহার নিয়ে এলেন। ভারতীয় ক্রিকেটার তাঁর বাবা-মা’কে জাতীয় দলের জার্সি উপহার দিলেন।
[আরও পড়ুন: সোনা জয়ের লক্ষ্যে কবে, কখন জ্যাভলিন হাতে নামবেন ‘সোনার ছেলে’ নীরজ?]
তাঁর ২১ বলে ৩৮ রানের সৌজন্যে টিম ইন্ডিয়া প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৮৫ রান। ফলে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৩ রানে জিততে বেগ পেতে হয়নি। এমন মারমুখী ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরার খেতাবও পেয়েছিলেন তিনি। আর এবার সেই নীল রঙের জার্সি রিঙ্কু তাঁর বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিলেন। রিঙ্কুর এই ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সকলেই তাঁর এই ‘শিক্ষা’কে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
বাবা খানচন্দ সিং স্থানীয় এলাকায় এলপিজি গ্যাস সরবরাহ করতেন। পাঁচ-ভাই বোনের সংসারে অভাব-অনটনের সঙ্গে মিতালি গড়েই জীবনের চলার পথ গড়তে হয়েছে বাঁ-হাতি এই ক্রিকেটারকে। এসবই পুরনো কথা। এটুকুতে যে রিঙ্কুর ব্যাপ্তিকে ধরা মুশকিল। এর বাইরে একটা অন্য রিঙ্কুও রয়েছে। যিনি দরকারে নিজের এলাকার ছেলেদের ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য অ্যাকাডেমি গড়ে দেন। আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপালে আগ্রাসী মেজাজ ধারণ করেন।
আসলে রিঙ্কুরাই পারেন। মনে করিয়ে দেন, শাহরুখ খানের সেই বিখ্যাত ডায়লগ। ‘ক্যাহতে হ্যায় অগর কিসি চিজ কো দিল সে চাহো, তো পুরি কায়নাত উসে তুমসে মিলানে কি কোশিশ মে লাগ জাতি হ্যায়।’ রিঙ্কুর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক তেমনই।