shono
Advertisement

‘কবিতার দেশে’ পুড়ল গ্রন্থাগার, চারদিন ধরে দাঙ্গার আগুনে পুড়ছে ফ্রান্স

বিক্ষোভ থামাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Posted: 12:44 PM Jul 01, 2023Updated: 12:51 PM Jul 01, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লদ মানে, রেনোয়াঁর তুলির দেশ। বোঁদলেয়ার, ভের্লেন, ভিক্টর হুগোর কলমের দেশ। সেই ছবির দেশ, কবিতার দেশে এখন জ্বলছে আগুন। চতুর্থ দিনেও পরিস্থিতি অশান্ত। বিক্ষোভকারীরা হামলা চালাচ্ছে ব্যাংক, দোকানপাট সর্বত্র। এমনকি বিক্ষোভের নামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রন্থাগারেও। ভাঙচুর করা হয়েছে সেখানে। প্রতিবাদের অছিলায় এহেন তাণ্ডব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মার্সেইয়ের আলকাজার গ্রন্থাগারে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। ভেঙে দেওয়া হয় লাইব্রেরির জানালা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় প্রবেশপথেও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা গ্রন্থাগারটিকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারেনি। অল্পের জন্য বড় কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে গ্রন্থাগারটি। এই ঘটনার পর নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। একজন টুইটে বলেছেন, ” আমরা বই পোড়াচ্ছি না। নিজেদের গায়েই আগুন দিচ্ছি।”

[আরও পড়ুন: ‘কোরান পোড়ানো বেআইনি নয়’, বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি ন্যাটো প্রধানের]

ঘটনার সূত্রপাত হয় গত মঙ্গলবার। অভিযোগ, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় নাহেল এম নামের ১৭ বছরের এক কিশোর। প্যারিসের পাশে অবস্থিত নঁতের অঞ্চলে পৌঁছয় সে। সেই সময় কয়েকজন পুলিশ তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের মধ্যে একজন বন্দুক তাক করে ছিলেন। তারপর সেই কিশোর পালানোর চেষ্টা করলে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করেন সেই পুলিশকর্মী। মৃত্যু হয় কিশোরের। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে ফ্রান্স। 

এদিকে, বিক্ষোভ থামাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃত্যু হয়েছে এক বিক্ষোভকারীর। আহত প্রায় ২০০ জন পুলিশকর্মীও। এরই মাঝে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী নিহতের পরিবারের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ কমার কোনও লক্ষণ নেই। গতকাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠকও ডেকেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ইতিমধ্যেই ৪৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। 

[আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে গৃহহীন ১ লক্ষ, এ কোন আমেরিকা!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement