নতুন জামার গন্ধ। পুজোসংখ্যার পাতায় নয়া অভিযান। পুজোর ছুটির চিঠি। ছোটবেলার পুজোর গায়ে এরকমই মিঠে স্মৃতির পরত। নস্ট্যালজিয়ায় ঋষি কৌশিক।
[ শ্লীলতাহানির শিকার! ছুটির মাঝেই মুম্বই ফিরলেন অভিনেত্রী ]
পুজো মানেই আমার কাছে ক্যাপ-বন্দুক। ছোটবেলার ওই স্মৃতি সবচেয়ে টাটকা। মহালয়ার পরেই বাবা বন্দুক কিনে দিতেন। তাতে রিল-ক্যাপ ভরে ষষ্ঠীর দিন সকাল থেকে সদলবলে পুজো পরিক্রমা শুরু হত। মাঝে মধ্যে বন্দুক ফাটানো নিয়ে দুই ‘গোষ্ঠীর’ মধ্যে লড়াই! পৌরুষের প্রথম অনুভব। পুজোর ভূরিভোজ, বিজয়ার মিষ্টিমুখ, দেদার আড্ডা কত সুখস্মৃতি। এখনও সুযোগ পেলে তেজপুরে চলে যাই। ব্রহ্মপুত্র লাগোয়া এই শহরেই আমার ছোটবেলা কেটেছে। কত আনন্দ, কত প্রেম, কত ঝগড়া, কত আড্ডা। পুজো মানেই নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুজোর মানে বদলেছে।
এখন সেই ক্যাপ-বন্দুকের উন্মাদনা আর নেই। ছেলেমেয়েরা কার্টুন চ্যানেল-ভিডিও গেমে ডুবে আছে। কিন্তু আমি এখনও আমার বাবার কিনে দেওয়া ক্যাপ-বন্দুক মিস করি। কোথায় হারিয়ে গেল সেই সোনালি দিনগুলি? অভিনয় জগতে থাকার সুবাদেই এখন আর আগের মতো অবাধে ঘোরাঘুরি সম্ভব হয় না। একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকতে হয়। কিন্তু আমার তেজপুর, আমার ব্রহ্মপুত্র, আমার ক্যাপ-বন্দুক, আমার ছেলেবেলা, অষ্টমীর ভোগ, বিসর্জনের নাচ এখনও আমায় চুম্বকের মতো টানে। তবে একটা কথা, পুজোয় প্রেমে পড়া ছেলেদের দলে আমে নেই। আমি সারাবছর প্রেম করায় বিশ্বাসী।
[ প্রেম আর শরীরের খিদে নিয়ে হাজির ‘চরিত্রহীন’-এর ট্রেলার ]
The post আমার দুগ্গা: পুজো মানেই আমার কাছে ক্যাপ-বন্দুক appeared first on Sangbad Pratidin.