সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টলিপাড়ায় আচমকাই আছড়ে পড়ল দুঃসংবাদ! শনিবার দুপুরে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন শ্রীলা মজুমদার (Sreela Majumdar)। দিন কয়েক টাটা মেডিক্যাল ক্যানসার সেন্টারে ভর্তি ছিলেন তিনি। তারপর অভিনেত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলেও শেষরক্ষা আর হয়নি! জানান শ্রীলার স্বামী এসএনএম আবদি। অভিনেত্রীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। নিজের দিদির মতোই দেখতেন তিনি শ্রীলাকে। তাই এদিন যখন শ্রীলা মজুমদারের প্রয়াণের খবর পেলেন, কান্নায় গলা বুজে এল ঋতুপর্ণার।
নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়েই অভিনেত্রী বললেন, “আমার দিদি চলে গেল। মনে হয় না এটা কখনও বলতে পারব যে আমার দিদি আর নেই। কারণ আমার দিদির এতটাই মনোবল ছিল যে সে সবসময়ে আমার মধ্যে শক্তি জুগিয়ে গিয়েছে। এই মানুষটা চিরকাল আমায় বলে গিয়েছে যে- ঋতু তুমি কখনও থামবে না। যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন, তুমি কখনও ভাঙবে না। আমার দিদির কথাগুলো রোজ কানে বাজবে। যতদিন আমি বেঁচে থাকব। এত স্নেহ, এত ভালোবাসা এই দিদি আমায় দিয়েছে যে কোনওদিন বুঝিনি যে আমার নিজের দিদি নেই।”
স্মৃতিচারণ করে ঋতুপর্ণা বললেন, “কত ছবি করেছি আমরা একসঙ্গে। পরবর্তীকালে শ্রীলাদির মন ভেঙে গিয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকের প্রতি অভিমান ছিল। যাঁরা শ্রীলাদির পাশে ছিলেন, শিল্পী হিসেবে তাঁর মূল্যায়ণ করেছেন। তাঁদের আমি সারাজীবন সম্মান করব। ওঁর ভুবন ভোলানো কণ্ঠস্বর রয়ে যাবে। লাভ ইউ শ্রীলাদি। তুমি থাকবে চিরকাল আমাদের মনে অমর হয়ে।”
[আরও পড়ুন: ক্যানসারের কাছে হার মানল জীবন, প্রয়াত শ্রীলা মজুমদার]
শ্রীলা মজুমদারের সঙ্গে ঋতুপর্ণার এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ইন্ডাস্ট্রির কারোরই অজানা ছিল না। ঋতুর বাড়ির যে কোনও অনুষ্ঠানে কিংবা তাঁর সিনেমার প্রিমিয়ারে দেখা যেত শ্রীলা মজুমদারকে। আজ স্মৃতির সেসব ফ্রেম আঁকড়ে ঋতুপর্ণা বললেন, “শ্রীলা মজুমদারের মতো অভিনেত্রী আমাদের সিনেজগতে বিরল। আমার দিদি শ্রীলার, প্রথিতযশা অভিনেত্রী। যার অভিনয়ের ছটা ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। এত বিখ্যাত কাজ ওঁর। এত খ্যাতনামা তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। অনেক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন শ্রীলাদি। আমি খুব ক্ষুদ্র, ওঁর বিষয়ে কিছু বলার জন্য। শেষ কয়েকটা দিন অনেক লড়াই করেছেন। সবসময়ে বলতেন, ‘জানিস ঋতু আমি হয়তো ভালো হয়ে যাব। আর হয়তো কয়েকটা দিন। তারপরই কিন্তু আবার তোর সঙ্গে এই কাজটা করব। শোন, আমাদের কিন্তু বাইরে অনেক কাজ করতে হবে।'”