সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতীশ শাসনে বিহারে ফের জঙ্গলরাজ! মঙ্গলবার রাতে হাজিপুরে স্থানীয় কাউন্সিলর পঙ্কজ রাইকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। আরজেডি নেতাকে রাস্তা থেকে বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করে বাড়ির সামনে তাঁকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এই হত্যাকাণ্ডে নীতীশের দল জেডিইউ-র দিকে আঙুল তুলেছেন আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব। অপরাধীদের এনকাউন্টার করার দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক মুকেশ রোশন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় বাড়ির কাছেই এক কাপড়ের দোকানে গিয়েছিলেন পঙ্কজ। সেই সময় বাইকে সওয়ার ৩ দুষ্কৃতী তাঁকে গুলি করার চেষ্টা করে। এর পর দোকান থেকে বেরিয়ে বাড়ির দিকে দৌঁড়তে থাকেন তিনি। বাইক থেকে নেমে তাঁকে ধাওয়া করে হত্যাকারীরা। এর পর বাড়ির সামনেই এলোপাথাড়ি গুলি করা হয় পঙ্কজকে। গুলির আওয়াজ শুনে বাড়ির সদস্যরা বেরিয়ে দেখেন আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কাউন্সিলর। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। যদিও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডে নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদব। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে NDA-র গুন্ডারা রাতে হাজিপুরে কাউন্সিলর পঙ্কজ কুমারকে গুলি করে হত্যা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ও দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী আরাম করে ঘুমাচ্ছেন, আর তাদের গুন্ডারা গুন্ডামি চালিয়ে যাচ্ছে।' এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর আরজেডি বিধায়ক মুকেশ রোশন সরাসরি ডিজিপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বিধায়ক বলেন, এই ধরনের অপরাধীদের সরাসরি এনকাউন্টার করে দেওয়া উচিত। রাজ্যে একের পর এক খুন এবং ক্রমবর্ধমান অপরাধের বিরুদ্ধে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার হাজিপুর বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। নিহত পঙ্কজ রাই হাজিপুর সদর থানা এলাকার দীঘি কলা পশ্চিমের বাসিন্দা। তিনি হাজিপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘নাও অর নেভার’, সুপ্রিম অনুরোধ উড়িয়ে কর্মবিরতি জারি চিকিৎসকদের]
এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন বৈশালীর পুলিশ সুপার হর কিশোর রাই ও এসডিপিও ওম প্রকাশ। স্থানীয় ও বাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আততায়ীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। পুলিশের দাবি, মোট তিনটি গুলি লেগেছে কাউন্সিলরের শরীরে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।