ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ভোটের দিন ঘোষণা হয়েছে। এবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পালা। কিন্তু তার আগে সব দলই নিজেদের ঘর গোছাতে চাইছে। এর মাঝেই রাজ্যে এসেছেন লালুপুত্র তথা আরজেডি (RJD) সুপ্রিমো তেজস্বী যাদব। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে জোট নিয়ে আলোচনা করতে চান তিনি। সোমবার বিকেল ৪টেয় তেজস্বীর সঙ্গে বসছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে থাকবেন বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম রজক।
এদিন দুপুরে কালীঘাটে তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির বৈঠক। ১২ সদস্যের কমিটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হবে। এর পরে বিকেলে তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। এদিকে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, আসানসোলের মতো জেলায় যেখানে হিন্দিভাষী মানুষের আধিক্য সেইসব কেন্দ্রে নিজেদের প্রার্থী দিতে চায় RJD। সেক্ষেত্রে জোট করে লড়াই নাকি আসন ভাগাভাগি, তা নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা হবে আজই। তেজস্বী আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে যে রাজ্যে ভোট আছে, সেখানে ওই রাজ্যের প্রধান শক্তি বা শাসকদলের সঙ্গে এক হয়ে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বেন। আরজেডির দাবি মতো আসনও তারা পায় কিনা, তাও আজকের বৈঠকে চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন শ্যাম রজক। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁদের মূল শত্রু বিজেপি। তাকে ঠেকাতে তারা মরিয়া। সেই কারণেই বাংলা-সহ অন্যান্য রাজ্যে যেখানেই সুযোগ পাবেন লড়াই হবে। এমনকী, রাজ্যে প্রচারেও তারা আসবেন।
[আরও পড়ুন : বিধানসভা নির্বাচনে একঝাঁক নতুন মুখকে প্রার্থী করবে তৃণমূল! কারা ঠাঁই পাবেন তালিকায়?]
আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিহারে ফিরবেন তেজস্বী। তার আগে মমতার সঙ্গে আসন নিয়ে রফা বের করতে কিছুটা মরিয়া তেজস্বী। একদিন আগেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে সমর্থনের বার্তা দিয়ে বলে দিয়েছেন, কলকাতায় এসেছেন মমতার আশীর্বাদ নিতে। এর আগেও একাধিকবার দু’জনকে পরস্পরের সমর্থনে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে হিন্দিভাষী এলাকায় বিজেপির আগ্রাসন ঠেকাতে RJDকে পাশে পেলে তৃণমূলের লাভই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বহিরাগত ইস্যুতে তৃণমূলকেই পালটা কোণঠাসা করতে তাদের অস্ত্রেই বাংলার হিন্দিভাষী এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে আরজেডির মতো দলকে পাশে পেলে হিন্দিভাষী এলাকা নিয়ে সামান্য আশঙ্কাও তৃণমূলের থাকবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আলোচনায় পরিস্থিতি অনুকূল হলে কাল কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরবেন তেজস্বী।