সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমন্ত্রণ ছিল দু’পক্ষেরই। ব্রিগেড সমাবেশে তাঁকে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বামফ্রন্ট নেতারা। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) তাঁর সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কোন পথে যাবেন তিনি, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না। কিন্তু রবিবার সকালে কলকাতায় পা রেখে আরজেডি (RJD) নেতা তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav) সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। দলীয় বৈঠক থাকার যুক্তিতে এড়িয়ে গেলেন বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। আর বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, অন্য কারও সঙ্গে নয়। একুশে বঙ্গের ভোটে আরজেডি সমর্থন করবে তৃণমূলকেই (TMC)।
রবিবার বেলার দিকে কলকাতায় পা রেখে তেজস্বী যাদব চলে যান বেলেঘাটার পার্টি অফিসে। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। পরে সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলন শুরু করে দেন তেজস্বী। শুরুতেই ইঙ্গিত স্পষ্ট করে বলেন, ”ভোটে আমরা অর্থাৎ আরজেডি কাকে সমর্থন করবে, তা নিয়ে সকলের প্রশ্ন। সকলেই এর উত্তর পেতে আগ্রহী। তবে আমি একটা কথা বলতে পারি। আরজেডি হল সেই দল যারা কখনও কোনও অবস্থায় কোনও সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে হাত মেলায়নি।” এই বক্তব্যে উত্তর স্পষ্ট, তৃণমূলের পাশেই থাকছে লালুপ্রসাদের দল। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর নাগাদ তেজস্বী কালীঘাটের বাড়িতে যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। হয়তো তারপরই আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানাবেন লালুপুত্র।
[আরও পড়ুন: ‘ইনশাল্লাহ, মুখ্যমন্ত্রী হোক ভাইজান’, স্বপ্ন নিয়ে ব্রিগেডে বিশেষভাবে সক্ষম আব্বাস ভক্ত]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরজেডি-সহ দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলির সখ্যতা অজানা নয় কারও। বিহারে গত নির্বাচনের সময়ে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে একাধিকবার সমর্থন জানিয়েছিলেন মমতা। কয়েকবার উভয়ের দেখাও হয়েছে। এছাড়া জাতীয় স্তরে যখনই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ঐক্যমঞ্চ গড়তে চেয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাশে পেয়েছেন লালুপ্রসাদের দলকে। বিশেষত বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূলের সঙ্গী আরজেডি। এবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি। তাই সেই লড়াইয়েও তৃণমূল আরজেডিকে পাশে পেতে চায়। সেই উদ্দেশে তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠকের ভাবনা তাঁর। সোমবারই হতে চলেছে সেই বৈঠক। সূত্রের খবর, রাজ্যের কয়েকটি হিন্দিভাষী এলাকার আসন আরজেডিকে ছাড়া হতে পারে। এক্ষেত্রে বারাকপুর ও নৈহাটি শিল্পাঞ্চল নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।