সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রবিনসন স্ট্রিটের (Robinson Street) ছায়া কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলে। গত ৬ দিন ধরে মা-বাবার দেহ আগলে রইলেন মেয়ে। রবিবার দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিতেই বরাহনগরের (Baranagar) এক আবাসন থেকে চিকিৎসক দম্পতির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে পুলিশ মনে করলেও খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
জানা গিয়েছে, বরাহনগরের টিএন চ্যাটার্জি রোডের এক আবাসনে থাকতেন মা, বাবা ও মেয়ে। সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা এবং ৮০ বছরের বৃদ্ধ – উভয়েই ছিলেন চিকিৎসক। তাঁদের মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনজনে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এই পরিবারটি আবাসন কিংবা পাড়ায় কারও সঙ্গে তেমন মেলামেশা করতেন না। রবিবার সন্ধেবেলা হঠাৎ এই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বেরচ্ছে বলে বুঝতে পারেন অন্যান্য আবাসিকরা। তাঁরা খবর দেন বরাহনগর থানায়।
[আরও পড়ুন: ‘প্যাক-আপ’ মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন মদন মিত্র, জানালেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও]
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে বৃদ্ধ দম্পতির দেহ। আটক করা হয় মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত ৬ দিন আগে দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে মারা যান বৃদ্ধ, তারপরে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। তবে মেয়ে মৃত মা-বাবার দেহ এতদিন ধরে ঘরের ভিতরেই রেখে দিয়েছিলেন। পুলিশ কিংবা আত্মীয়দের কাউকে খবর দেওয়া হয়নি। দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধর শরীরে পচন ধরেছিল। তাই তাঁদের অনুমান, আগে মৃত্যু হয়েছে বাড়ির কর্তার, পরে তাঁর স্ত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। বয়সজনিত কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করলেও, তদন্তকারীরা খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। মেয়ের মানসিক পরিস্থিতির সুযোগে তাঁদের পরিচিত কোনও শত্রু এই কাজ করে থাকতেও পারে। বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। এহেন ঘটনায় কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই আবাসনে।