স্টাফ রিপোর্টার: ফরসেপ ধরে চিকিৎসকের হাত কাঁপতে পারে। কিন্তু যন্ত্রমানবের তা হবে না। অস্ত্রোপচারকে নিঁখুত করতে তাই রোবোটিক সার্জারির (Robotic Surgery) জুড়ি মেলা ভার। সেই সার্জারি এখন আরও সস্তায়। বহুমূল্য দ্য ভিঞ্চির বদলে নিজস্ব রোবট বানিয়েছে ভারত। তা আসতে চলেছে শহর কলকাতায়। বেসরকারি তো বটেই বঙ্গের সরকারি হাসপাতালেও আসতে চলেছে ‘এসএসআই মন্ত্র’ নামের নতুন রোবট। দ্য ভিঞ্চি রোবটের দাম প্রায় দশ কোটি টাকা। ভারতে তৈরি নতুন এই রোবট পাওয়া যাবে পাঁচ কোটি টাকায়।
শনিবার অ্যাপোলো হাসপাতালে এসেছিলেন পদ্মশ্রী সার্জন প্রকার দাশগুপ্ত। এই মুহূর্তে লন্ডনের বিখ্যাত এক হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ডা. প্রকার দাশগুপ্তর কথায়, “ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি তো বটেই কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের (Transplant) মতো জটিল অস্ত্রোপচারও নিঁখুতভাবে করছে রোবট।” এদিন হাসপাতালে প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যানসারের অস্ত্রোপচার করেছেন চিকিৎসক প্রকার দাশগুপ্ত। প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যানসারের আক্রান্ত ৭৫ বছরের ওই বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত জটিল। কিন্তু রোবোটিক সার্জারিতে নিঁখুত এবং দ্রুত হয়েছে অস্ত্রোপচার। সাধারণত প্রস্টেট গ্রন্থির রোবোটিক সার্জারি করতে খরচ তিন থেকে চার লক্ষ টাকা। সেখানে হাতে অপারেশনের খরচ অনেক কম। তাহলে কেন রোবোটিক বেছে নেবেন আমজনতা?
[আরও পড়ুন: বাংলার পরবর্তী রাজ্যপাল কি নকভি? ধনকড় উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতেই জল্পনা]
সার্জন প্রকার দাশগুপ্তর কথায়, রোবোটিক সার্জারিতে হাসপাতালে থাকতে হয় কম সময়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রোগীকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। রোগীর পরিবারের হাসপাতালের খরচও বেঁচে যাবে। শুধু তাই নয়, পদ্মশ্রী সার্জন জানিয়েছেন, ক্যানসারের রোবোটিক সার্জারি অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় ক্যানসারের অস্ত্রোপচারের পর ফের তা ফিরে আসে। রোবোটিক সার্জারিতে এই ‘রেকারেন্স’ বা ক্যানসারের পুনরায় ফিরে আসার সম্ভাবনাও অনেকটাই কম।
[আরও পড়ুন: ফের কলকাতায় উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু, বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ]
ইতিমধ্যেই নতুন রোবট চলে এসেছে রাজীব গান্ধী ক্যানসার ইনস্টিটিউটে। এদিন অ্যাপোলো হাসপাতালের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট ডা. অমিতকুমার ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, রোবটের হাত পরিচালনা কেমনভাবে হবে তা পরিচালনা করেন চিকিৎসক। রোবটের দু’টি হাতে লাগানো থাকে ক্যামেরা। তা-ই ঢুকে যায় রোগীর শরীরের ভেতর। মনিটরে শরীরের যে অংশে অস্ত্রোপচার করা হবে, সেই অংশটি প্রায় ৮০ গুণ বাড়িয়ে চিকিৎসক মনিটরের পর্দায় দেখতে পান। এতে অস্ত্রোপচার করতেও সুবিধা হয়।