স্টাফ রিপোর্টার: রোদ্দুর রায় (Roddur Roy) ছাত্র! ফাইল হাতড়াচ্ছে রামনগরের কলেজ। ইউটিউবার রোদ্দুর রায় সমাজমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর পোস্ট করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশেরই একটি সূত্র জানাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়াল ওই কলেজে।
দিঘার (Digha) অদূরে ওই কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররাও যেমন আলোচনা শুরু করেন, তেমনই শিক্ষকরা খোঁজ নিতে শুরু করেন, কে এই রোদ্দুর রায়। তিনি কোন বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তবে কলেজের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রোদ্দুর বছর তিরিশ আগের পাস আউট। কিন্তু আদতে কলকাতার বাসিন্দা ওই যুবক কেন অত দূরের একটি কলেজে ভরতি হয়েছিলেন, আদৌ তিনি এখানকার ছাত্র ছিলেন কি না তা ঘিরে বারবার বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবি, নাড্ডার সফরের মাঝে সরব কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক]
কলেজের অধ্যক্ষ অনন্তমোহন মিশ্রর দাবি, “এমন কোনও ছাত্রর কথা কেউই বলতে পারছেন না। কিছুদিন আগেই ৫০ বছর পূর্তি হল কলেজের। সেখানেও প্রাক্তনীদের মুখে শোনা যায়নি রোদ্দুর রায়ের নাম।” কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন ছাত্র সম্পাদক শেখ মইদুল বলেন, “আমাদের সুনামের সঙ্গে বিষয়টি জড়িয়ে গেল। গ্রেপ্তারির খবর শোনার পরই খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। কলেজের রেজিস্টারে দেখা হবে, ওই নামে আদৌ কোনও ছাত্র ছিলেন কি না।”
উল্লেখ্য, রোদ্দুর রায়ের নামে গত ৩ জুন রোদ্দুরের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় এফআইআর করেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে বিভিন্ন বিশিষ্টজনের সমালোচনা করেন রোদ্দুর রায়। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। লাইভে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। অশ্রাব্য শব্দ প্রয়োগ করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও। আবার গত মাসে রাজ্য সরকারের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন এই ইউটিউবার।
মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানির দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে পাটুলি থানায় সেবার এফআইআর (FIR) দায়ের করেছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য অরিত্র সাহা। অশালীন ভাষার প্রয়োগ বারবারই সমালোচিত হয়েছেন রোদ্দুর রায়। সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তারই করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হয়েছে বিতর্কিত ইউটিউবারকে।