সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। সেখানে বসেই এবার জেহাদের 'নীল নকশা' তৈরি করছে রোহিঙ্গা জঙ্গিরা। এমনই দাবি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের।
কক্স বাজারে দশ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গাদের বাস। তাদের ভিতর থেকেই হাজার হাজার রোহিঙ্গা জঙ্গি একত্রিত হয়েছে মায়ানমারের বিরুদ্ধে জেহাদের সংকল্প নিয়ে। এই বছর থেকে সেখানে নতুন জঙ্গিদের অন্তর্ভুক্তি হওয়া শুরু হয়েছে। ব্যাপক সহিংসতাও বাড়ছে সেখানে। চারটি সূত্র রয়টার্সকে এই বিষয়ে জানিয়েছেন। পাশাপাশি দুটি সাহায্যকারী সংস্থার অভ্যন্তরীণ রিপোর্টেও এমনটাই জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমার সেনাবাহিনীর ‘গণহত্যা’ ও ‘নিপীড়নে’র মুখে দেশটি থেকে প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। সবমিলিয়ে মিলিয়ে এখন ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারে বসবাস করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মায়ানমার। সংঘাতে জড়িয়েছে বার্মিজ সেনা তথা ‘টাটমাদাও’ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যার প্রভাব পড়ছে ভারত, বাংলাদেশের মতো পড়শি দেশে। ২০২১ সালে জুন্টার অভ্যুত্থানের পর এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এবার জানা যাচ্ছে, মায়ানমারে ফিরে গিয়ে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ‘রাষ্ট্রহীন’ জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা।
দাবি, রাখাইন প্রদেশের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে জুন্টার হয়ে যুদ্ধ করছে রোহিঙ্গারা। যদিও এমন দাবি উড়িয়ে দিচ্ছে জুন্টা। তারা জানিয়েছে, কোনও মুসলিমকেই তারা নিযুক্ত করেনি। তবে রয়টার্সের প্রশ্নের কোনও জবাবই দেয়নি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। আলোচনায় উঠে আসে রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গও। তিনি জানিয়েছেন, হাসিনার ক্ষমতায় থাকার সময় এই শরণার্থীদের নিয়ে ঢাকার অবস্থান যা ছিল, এখনও তাই থাকবে। রোহিঙ্গাদের সাহায্য অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন ইউনুস। ফলে এখন এই রোহিঙ্গা ইস্যুকে কীভাবে সামাল দেয় তারা সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।