সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে ভয়াবহ গুলির লড়াই। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম কুখ্যাত জঙ্গি। নিহত জেহাদি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি’র কমান্ডার বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে (Rohingya camp)। আজ সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ উখিয়া ১৭ নং ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে গুলিযুদ্ধে হুসেন মাঝি নামে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার এক শীর্ষ নেতা নিহত হয়। ১৪ আমর্ড পুলিশের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) সৈয়দ হারুন অর রশীদ জানান, এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি, ওয়াকিটকি, মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড বাজেয়াপ্ত করে।
সৈয়দ হারুন অর রশীদ আরও জানান, এদিন সকালে আরসা সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে এপিবিএন। তখনই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। এ সময় এপিবিএনও পালটা গুলি ছোঁড়ে। গুলির লড়াইয়ের পর ওই এলাকা তল্লাশি করে শীর্ষ আরসা কমান্ডার আবদুল হুসেন মাঝির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি, ওয়াকিটকি, মোবাইল ফোন ও মোবাইলের সিম বাজেয়াপ্ত করা হয়। তিনি আরও জানান, নিহত হুসেন মাঝি একাধিক হত্যা মামলার আসামি। বাকি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এলাকা ঘিরে ধরে চলছে সন্ত্রাস দমন অভিযান।
[আরও পড়ুন: নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের নেপথ্যে ওয়েবসাইটের দুর্বলতা, দাবি বাংলাদেশের ২ মন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, মায়ানমারের (Myanmar) জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি তথা আরসা-কে মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের আইএসআই। আরসা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটির সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টালিজেন্স ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির যোগ দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালের আগস্টে আরসা মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পর থেকেই সেখানে আরসার বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু হয়।