সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার বছর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে টি-২০ খেলেননি। সাদা বলের ক্রিকেটে জাতীয় দলের চৌহদ্দিতেও ছিলেন না। হঠাত টি-২০ বিশ্বকাপের (ICC World T-20) দলে ঢুকে পড়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (R Ashwin)। যাকে কিনা ইংল্যান্ডের মাটিতে সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজে একটি ম্যাচও খেলাননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাত অশ্বিনের সাদাবলের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের রহস্যটা কী? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এর পিছনে নাকি রয়েছে দলের সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) হাত।
আসলে, বিরাটের পছন্দের টি-২০ স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর আঙুলের চোটের জন্য দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে। তাছাড়া তাঁর ফর্মও তেমন ছিল না। তাই নির্বাচকরা বিকল্প কোনও স্পিনারের খোঁজ করছিলেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এ বিষয়ে নাকি রোহিতের পরামর্শ চান নির্বাচকমণ্ডলী। তখন টিম ইন্ডিয়ার সহ-অধিনায়কই নাকি অশ্বিনের কথা বলেন। রোহিতের বক্তব্য ছিল, ইদানিংকালে আইপিএলে (IPL) অশ্বিনকে খেলা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাছাড়া এই মুহূর্তে তিনি দেশের সেরা স্পিনারদের একজন। সূত্রের দাবি, টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন নাকি প্রবলভাবেই অশ্বিনকে দলে ফেরাতে চাইছিলেন। নির্বাচকরা অবশ্য আগেই কোহলির (Virat Kohli) কাছে অশ্বিনকে নেওয়া নিয়ে মতামত চান। বিরাটও নাকি অশ্বিনকে নেওয়ার পক্ষেই ছিলেন। তবে, তাঁর প্রথম পছন্দ ছিল ওয়াশিংটন সুন্দর। তরুণ ওই স্পিনার চোট পাওয়ার পরই অশ্বিনের কথা ভাবে ভারতীয় বোর্ড।
[আরও পড়ুন: মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘মাদক জেহাদে’র অভিযোগ, বিতর্কে কেরলের যাজক]
শুধু অশ্বিনের নির্বাচনের ক্ষেত্রে নয়। আরও একাধিক ক্রিকেটারের নির্বাচনের ক্ষেত্রেই নাকি রোহিত শর্মার মতামত গুরুত্ব পেয়েছে। যেমন লেগস্পিনার হিসাবে কোহলির পছন্দের যুজবেন্দ্র চাহালের বদলে নেওয়া হয়েছে রোহিতের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রাহুল চাহারকে। বস্তুত গোটা ভারতীয় দলেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাধান্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, টিম ম্যানেজমেন্ট নাকি চাইছে দলের লিডারশিপ গ্রুপে রোহিত আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিন। কঠিন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বিরাটকে আরও সাহায্য করুন।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশে একদিনে করোনামুক্ত ৩২ হাজারের বেশি, তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে টিকাকরণে জোর কেন্দ্রর]
অনেকে বলছেন, বিশ্বকাপের এই দল নির্বাচন বুঝিয়ে গেল টিমের সব কিছু এখন আর টিম ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছে-অনিচ্ছের উপর নির্ভর করে থাকবে না। আসলে ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পর ভারত আর কোনও আইসিসি (ICC) ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়নি। দুটো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হার। ২০১৬-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ধরলে সংখ্যাটা তিন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল হার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন ফাইনালে হার। কেউ কেউ বলছিলেন, পরপর আইসিসি ইভেন্টের সেমিফাইনাল, ফাইনালে হার ভাল বিজ্ঞাপন নয়। সম্ভবত সেকারণেই বিরাট কোহলির আপত্তি সত্ত্বেও কয়েকজন ক্রিকেটার বাদ পড়েছেন। আবার অশ্বিনের মতো ক্রিকেটার নাকি সুযোগ পেয়েছেন অধিনায়কের আপত্তি সত্ত্বেও।