শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: নতুন বছরে পর্যটকদের জন্য সুখবর। টয়ট্রেনের পর এবার শৈলরানিতে চালু হল রোপওয়ে। দীর্ঘ দশমাস বন্ধ থাকার পর ফের রোপওয়ে চালু হওয়ায় খুশির হাওয়া পর্যটকমহলে।
করোনা (Coronavirus) আবহে সংক্রমণ যাতে না ছড়িয়ে পরে সেজন্য মার্চ মাস থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রোপওয়ে। আনলক পর্যায়ে ধীরে ধীরে পাহাড়ের পর্যটন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও দু’মাস বন্ধ ছিল শৈলরানির দুই আকর্ষণ টয়ট্রেন এবং দার্জিলিং-রঙ্গিত ভ্যালে রোপওয়ে। রাজ্যের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী হলে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষের আবেদনে ফের টয়ট্রেন পরিষেবা চালু হয় ডিসেম্বর মাসে। এরপর নতুন বছরে পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করলে রোপওয়ে চালুর উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার, গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা কনভেয়ার অ্যান্ড রোপওয়ে সার্ভিসেস নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে রোপওয়ে চালুর অনুমতি দেওয়া হয়। সংস্থার প্রচার সচিব কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “করোনা আবহের জেরে দীর্ঘদিন থেকে পাহাড়ে রোপওয়ে পরিষেবা বন্ধ ছিল। পর্যটন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসায় ফের তা চালু করার অনুমতি মিলেছে।” পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “নতুন বছরে পর্যটকদের জন্য সুখবর। রোপওয়েতে পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।”
[আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য দরজা খুলল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য, মানতে হবে কড়া নিয়মবিধি]
জানা গিয়েছে, দার্জিলিং (Darjeeling) চকবাজার থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সিঙ্গমারি থেকে রোপওয়েতে চড়তে পারবেন পর্যটকরা। ৪৫ মিনিটের যাত্রাপথে পর্যটকরা ৮০০ থেকে সাত হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পাবেন। শেষ স্টেশন সিঙ্গলা বাজার। তবে একটি ছোট যাত্রাপথ রয়েছে যা তাকভারে শেষ হয়। ১৯৬৮ সালে প্রথম দেশের মধ্যে দার্জিলিং রোপওয়ে চালু হয়। সেসময় মূলত চা পাতা আদানপ্রদের জন্য ওই রোপওয়ে ব্যবহার করা হত। এখন ১৬টি গাড়িতে পর্যটকদের ঘোরানো হয়। মূলত আট কিলোমিটারের যাত্রাপথে রাম্মাম নদীর উপর দিয়ে সিঙ্গমারি থেকে সিঙ্গলা বাজার পর্যন্ত যাওয়া হয়। পরে যাত্রা পথ কমিয়ে তাকভার পর্যন্ত করা হয়। ওই যাত্রাপথে বারসনেবেগ ও সিঙ্গলা চা বাগানের উপর দিয়ে ওই রোপওয়ে গিয়েছে।