সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রসগোল্লার আবিষ্কর্তার নাম আজ আর কারওর অজানা নয়। বছর ঘোরার আগে যখন ওড়িশার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লা নিয়ে চুলোচুলি হচ্ছিল, তখনই সবাই জেনে গিয়েছে এই মিষ্টি তৈরি হয়েছিল বাংলার ঘরেই। কিন্তু কীভাবে? সেই ইতিহাস হয়তো অনেকেই জানে না। এবার সেই ইতিহাস জানাতেই আসছে ‘রসগোল্লা’।
ছবির নাম পাভেল রেখেছেন এটাই। হালকা, স্পঞ্জের মতো এই মিষ্টির জনক নবীনচন্দ্র দাশের জীবনচরিত উঠে এসেছে ছবিতে। বিশ্বজুড়ে যখন নবজাগরণের আবহ, তখন কলকাতার ঘরে এমন একটি মিষ্টি তৈরির প্রস্তুতি চলছে যা ‘ভূ-ভারতে নাই’। তবে একদিনে রসগোল্লা তৈরি হয়নি। তার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল তাঁকে। সেই গল্পই দেখা যাবে ‘রসগোল্লা’ ছবিতে।
[ ভারতীয় সুপারহিরোও বানিয়েছিলেন মার্ভেল খ্যাত স্ট্যান লি! কী নাম জানেন? ]
ব্যবসায়ী কালীদাসের দোকানে ময়রার কাজ করতেন নবীন দাশ। এভাবেই চলছিল তাঁর গতানুগতিক জীবন। এর মধ্যে একদিন এক মেয়ে এসে দোকান থেকে ১৬টি মিষ্টি খেয়ে গেল। অথচ টাকা পেলেন না নবীন ময়রা। সেই টাকা তিনি চাইতে গেলেন যখন, টাকা পেলেনই না, উলটে পেলেন চ্যালেঞ্জ। ক্ষীরোদমণি নামে সেই মেয়েটি ময়রাকে বলে ধবধবে সাদা, চটচটে নয় অথচ শুকনো নয়, এমন মিষ্টি বানাতে হবে। তবেই মিলবে টাকা।
এমন মিষ্টি তৈরি করতে গিয়ে তো ঘেমে নেয়ে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা নবীন ময়রার। কিন্তু যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। ততদিনে মিষ্টি বানানোর চক্করে দোকান বাঁধা পড়েছে মহাজনের কাছে। কিন্তু তাতেও চেষ্টার খামতি নেই। ধারকর্জ করে দিনরাত চলে মিষ্টি বানানোর কাজ। এভাবেই একদিন ছানা নিয়ে পরীক্ষা করতে করতে তিনি বানিয়ে ফেলেন রসে ভাসমান এক সাদা গোলক। নাম দেন রসগোল্লা।
ধীরে ধীরে কলকাতার মিষ্টির বাজার গ্রাস করতে শুরু করে রসে ডোবানো তুলতুলে এই ছানার মিষ্টি। একসময়ের নবীনচন্দ্র দাসের মিষ্টি পৌঁছে যায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অন্দরমহলেও। বাগবাজারের নবীন ময়রা হয়ে ওঠেন ‘রসগোল্লার কলম্বাস’।
[ চলচ্চিত্র উৎসবে সুযোগ পেয়ে গর্বিত লুপ্তপ্রায় আঞ্চলিক ভাষার সিনেমাওয়ালারা ]
The post কীভাবে ‘রসগোল্লার কলম্বাস’ হলেন নবীন ময়রা? ট্রেলারেই দেখুন appeared first on Sangbad Pratidin.