সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে হাজির বিরিয়ানির খুবই নামডাক। আর সেই খ্যাতির সুযোগ নিয়েই দেদার অনৈতিক কাজে লিপ্ত প্রস্তুতকারকরা। ঢাকা থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা নোয়াখালির সোনাইমুড়ীতে হাজি বিরিয়ানি হাউজ থেকে ১০০ কেজি গন্ডারের পচা মাংস (Rotten meat) বাজেয়াপ্ত করেছে সে দেশের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই পচা মাংস দিয়েই সম্প্রতি বিরিয়ানি রান্না হচ্ছিল হাজি বিরিয়ানি হাউসে। হাতেনাতে তা ধরা পড়ার পর প্রস্তুতকারক সংস্থাটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুধু জরিমানাই নয়, হাজি বিরিয়ানি (Biruyani) হাউসকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ এই অভিযান চালানো হয় নোয়াখালিতে। স্থানীয়রা জানায়, স্বাদের কারণে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এই হাজি বিরিয়ানি হাউজ। কিন্তু জনপ্রিয়তার আড়ালে গণ্ডারের ক্ষতিকর পচা মাংস খাওয়াচ্ছিল প্রস্তুতকারকরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (UNO) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলুর রহমান সেখানে অভিযান চালান। তাতে ৭০ কেজি পচা কাঁচা মাংস ও রান্না করা ৩০ কেজি মাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে দুর্গোৎসবে হামলার ঘটনায় সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধস নিয়ে চিন্তিত আওয়ামি লিগ]
ভ্রাম্যমাণ আদালতের (Mobile Court) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘সোনাইমুড়ি বাজারের হাজি বিরিয়ানি হাউজ দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১০০ কেজি ক্ষতিকর গণ্ডারের পচা মাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” এতদিন ধরে যারা হাজির বিরিয়ানির স্বাদে তৃপ্ত হচ্ছিলেন, তাঁদের এখন মাথায় হাত। শরীরের কতটা ক্ষতি হয়ে গেল, এই ভেবেই চিন্তা আকুল তাঁরা। অনেকেই আবার এ ধরনের প্রতারণার ঘটনায় নামী বিরিয়ানি প্রস্তুতকারী সংস্থার উপর ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে যে আরও অনেকেই বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচলেন, তা মনে করছেন জনগণ।