অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায় ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পাহাড়ে নয়, দক্ষিণবঙ্গেও নয়। রাহুল গান্ধীর ৫ দিনের ন্যায় যাত্রা হবে উত্তরবঙ্গের ৭ জেলা ছুঁয়ে। অসম ছেড়ে যা ঢুকবে কোচবিহারের বক্সিরহাটে। রোড শো’র সঙ্গে সুযোগ মতো হবে পদযাত্রা। চলবে ‘জন সংযোগ’। ফাঁকে ফাঁকে ভাষণও দিতে পারেন রাহুল। বুধবার শিলিগুড়িতে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সেই কথা জানিয়ে দিল এআইসিসি (AICC)। প্রাথমিক আলোচনার পর রুট চূড়ান্ত করতে দু-একদিনেই রাজ্যে আসছে রাহুলের স্পেশ্যাল টিম। র্যালিতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের শরিক সব দলকেই।
২৬ অথবা ২৭ জানুয়ারি অসমের দিশপুর হয়ে কোচবিহারে ঢুকবে রাহুলের রোড শো। বক্সিরহাট, তুফানগঞ্জ, ফালাকাটা, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, বাগডোগরা, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি হয়ে ঢুকবে বিহারের পূর্ণিয়ায়। দ্বিতীয় দফায় মালদহ, মুর্শিদাবাদ হয়ে তিনি যাবেন ঝাড়খণ্ড। ফলে দার্জিলিং, কালিম্পং তো নয়ই, দক্ষিণবঙ্গের কোনও অংশেই পা রাখবেন না রাহুল (Rahul Gandhi)। বিশেষজ্ঞমহলের বক্তব্য, এআইসিসি (AICC) নেতৃত্ব তৃণমূলের গড়ে পা রাখতে চাইছে না। তার মধ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের প্রস্তাবও দিয়ে দিয়েছে। সেই কারণে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান, ডুয়ার্সের কিছু অংশের পাশাপাশি কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে এমন জেলা ছুঁয়ে রাহুল বেরিয়ে যাবেন রাহুল।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতার রাস্তায় মদ্যপের তাণ্ডব, ভ্যানচালককে ধাক্কার পর গাড়ির উপর নাচ যুবকের!]
মণিপুর থেকে রাহুলের নেতৃত্বে ভারত জোড়ো ন্যায় (Bharat Nyay Yatra) যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ১৪ জানুয়ারি থেকে। বঙ্গে যাত্রা ঢুকলে তা দুদিনের ছেদে চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তার জন্য প্রতিটি রাজ্যে দলের সাধারণ সম্পাদককে মাথায় রেখে ১৬ জনের কমিটি গড়ে দেওয়ার কথা। যাত্রার যাবতীয় দায়িত্ব থাকবে এই কমিটির হাতে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহেই প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে কলকাতায় আসছেন এআইসিসি নেতৃত্ব। এদিন এ নিয়েই আলোচনাপর্বে ছিলেন কংগ্রেসের সম্পাদক ভিপি সিং, বিনয় তামাং, শংকর মালাকার, মনোজ চক্রবর্তীরা। যে বৈঠক শেষে ভিপি সিং বলেন, “এই যাত্রা হবে সাধারণ মানুষের ন্যায়ের লক্ষ্যে। শিক্ষা, চাকরি থেকে শুরু করে হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিচার চেয়ে।”
[আরও পড়ুন: ফের হামলার আশঙ্কা ইডির? এবার শক্তি বাড়িয়ে অভিযান]
এই ন্যয় যাত্রায় পাহাড় কেন ব্রাত্য, সেই প্রশ্নের জবাবে বিনয় তামাং বলেন, “ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে অনেক। তাই ন্যায় যাত্রা পাহাড়ে যাবে না। তবে পাহাড় থেকে অনেকে আসবেন যাত্রায় সামিল হতে। রাহুল গান্ধীকে আমি ভোটের প্রচারে পাহাড়ে আসার জন্য দিল্লিতে গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছি।” দক্ষিণবঙ্গের নেতৃত্বও যোগ দেবে।