সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিশ্বে ফের দাপট দেখাচ্ছে করোনা। চিনে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটিরও বেশি মানুষ। ওমিক্রনের বিএফ-৭ স্ট্রেন নিয়ে ভাবিত ভারতও। এই আণুবীক্ষনিক জীবের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে প্রতিষেধক। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
মানুষের মনে তৈরি হওয়া উদ্বেগ প্রশমনে উপরোক্ত অভিযোগের জবাবে সরকার জানিয়েছে, ফাইজারের তৈরি টিকার ‘এক্সপায়রি ডেট’ বা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ তিন মাস বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ঔষধ প্রশাসন দপ্তর ও টিকাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির অনুমোদন ও পরামর্শেই এটা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দেশের কোথাও করোনার মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশে ১২ বছরের বেশি বয়সীদের এখন ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকার ভায়ালে এক্সপায়রি ডেট লেখা আছে ৩০ নভেম্বর ২০২২। স্বাস্থ্যদপ্তর বলছে, এই টিকা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
[আরও পড়ুন: ফুটবল কূটনীতি! আগামী বছরেই বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে আর্জেন্টিনা]
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, আমেরিকার টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তাদের তৈরি করোনার টিকার এক্সপায়রি ডেট বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল। তারা বলেছিল, তৈরির ১২ মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কথা এমন টিকা ১৫ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। আবার তৈরির ৯ মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কথা এমন টিকা ১২ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং করোনা টিকার সংগ্রহ ও বিতরণের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স বিষয়টি সদস্যদেশগুলোকে অবহিত করে।
উল্লেখ্য, ২০ ডিসেম্বর থেকে গোটা দেশে করোনা টিকার (corona vaccine) চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বুস্টার ডোজ হিসেবে মূলত ফাইজারের টিকাই দেওয়া হচ্ছে। দেশের কয়েকটি জায়গায় মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন। এই কারণে অনেকে টিকাকেন্দ্রে এসে টিকা না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে এবার অবস্থান স্পষ্ট করল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।