সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচলের (Arunachal) ইয়াংৎসে ‘সম্পূর্ণ নিরাপদ’ বলে দাবি করেছিলেন তিনি। পোস্ট করেছিলেন একটি ছবিও। সেখানে তাঁকে সেনার মাঝে দেখা গিয়েছিল। আর এই টুইট ঘিরেই বিতর্কে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। কেননা ওই ছবি ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিরোধী কংগ্রেসের দাবি, সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা নিজের যে ছবি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী টুইটারে পোস্ট করেছেন তা অন্তত তিন বছরের পুরনো।
২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর একই জায়গার সামান্য অন্য কোন থেকে নেওয়া ছবি পোস্ট করেন, যা এদিন ফের পোস্ট করেন তিনি। কংগ্রেসের অভিযোগ, পুরনো ছবি দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। উল্লেখ্য, তাওয়াংয়ে চিনের রক্তচক্ষুতে উদ্বিগ্ন দেশ। কয়েকদিন আগেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকাটিতে লালফৌজের আগ্রাসন রুখে দেয় ভারতীয় সেনা। গালওয়ান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পিপলস লিবারেশন আর্মির ষড়যন্ত্র গোড়াতেই ভেস্তে দেন সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীরা।
[আরও পড়ুন: পিসিকে মেরে ১০ টুকরো করল ভাইপো, শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া জয়পুরে]
এরই মাঝে শুক্রবার রাজস্থানের জয়পুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল দাবি করেন, ‘‘অনুপ্রবেশ নয়, বরং যুদ্ধের ছক কষছে চিন। যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে ওরা।” রাহুল (Rahul Gandhi) অভিযোগ করেন, “আমাদের সরকার তা (এই পরিস্থিতি) মানতে চাইছে না।’’ তিনি বলেন, “চিন আমাদের জমি কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সেনাকে মারছে। চিনের বিপদ এখন আর গোপন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু সরকার দেখেও দেখছে না।” কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, “চিন লাদাখ ও অরুণাচলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে আর ভারত সরকার ঘুমোচ্ছে!”
রাহুল গান্ধীর এহেন মন্তব্যেই চটেছে গেরুয়া শিবির। এমন মন্তব্যের জন্য তাঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করার দাবিও করেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন কিরেন। টুইটারে তাঁকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘রাহুল গান্ধী কেবল ভারতীয় সেনাকে অপমানই করেননি। তিনি দেশেব ভাবমূর্তিরই ক্ষতি করছেন। তিনি কেবল কংগ্রেস দলটির সমস্য়াই নন। গোটা দেশের কাছেই এক অস্বস্তি হয়ে উঠছেন। আমাদের সেনার জন্য আমরা গর্বিত।’ সেই সঙ্গে তাওয়াংয়ের ওই ছবিটিও পোস্ট করে তিনি দাবি করেন, ওই অঞ্চল সম্পূর্ণ নিরাপদ। কিন্তু ছবিটি ২০১৯ সালের বলে কটাক্ষ কংগ্রেসের।