কলহার মুখোপাধ্যায়: আপার প্রাইমারির ইন্টারভিউয়ের লিস্ট প্রকাশ বা প্রস্তুতির জন্য আদালতে অতিরিক্ত চার সপ্তাহ সময় বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সেই সময়সীমা সোমবার শেষ হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, একদিন কেটে গেলেও তালিকা প্রকাশ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ তাঁদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। যা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে অনলাইনে তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। অনলাইনে ইন্টারভিউর দাবিও উঠেছে।
আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১০ মে মধ্যে ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ ও ঠিক তার আট সপ্তাহের মধ্যে মেরিট লিস্ট প্যানেল প্রকাশিত হওয়ার কথা। আগের নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রার্থীদের যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত ইন্টারভিউর তালিকা কবে প্রকাশিত হবে, সে বিষয়ে কমিশনের তরফে কিছু জানা যায়নি। ফলে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে প্রার্থীদের মধ্যে। এবার কমিশন কী ধরনের ভূমিকা পালন করে, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন হাজার হাজার আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করাটাই এখন অন্যতম দাবি। অনলাইনে ইন্টারভিউ নেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারে এসএসসি। তবে দেখতে হবে যাতে জেলা ও শহরের সব অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা সেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াতে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে অনিশ্চয়তার মুখে জয়েন্ট এন্ট্রান্সও, বাতিল হবে পরীক্ষা? বাড়ছে সংশয়]
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে মঞ্চ সংবেদনশীল। এই অবস্থায় বিকল্প পথের অনুসন্ধান করতে সরকার এবং এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। অনলাইনে ইন্টারভিউ শুরু করার কথা ভেবে দেখতে বলছে মঞ্চ।” মঞ্চের বক্তব্য, “ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশের বিষয়ে অতিরিক্ত চার সপ্তাহ সময়সীমা চেয়ে কমিশন আদালতে আরজি জানিয়েছিল। সোমবার সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কমিশনের তরফে ইন্টারভিউ নিয়ে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী এবং এসএসসি-র কাছে আবেদন, বর্ধিত শূন্যপদে দ্রুত আপার ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করে কোভিড বিধি মেনে যথারীতি ইন্টারভিউ নেওয়ার কার্যকরী ভূমিকা, ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ শে জুলাই মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক।