দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বর্ষার এই রোম্যান্টিক আবহাওয়াতে ঘরে কি আর বসে থাকা যায়! তাও আবার ভাদ্র মাসের মতো সঙ্গী খোঁজার সময়ে। তাই দিনভর কোথাও হেতাল বাগানে কোথাও বা গরান গাছের আড়ালে আবার কোথাও বা নদী বের হতে দেখা গেল একসাথে। জঙ্গলের মহারাজ কাঁপিয়ে বেড়ালেন ম্যানগ্রোভের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। যা ক্যামেরাবন্দি করলেন শত শত পর্যটক।
[আরও পড়ুন: কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমি থেকে পদত্যাগ রঞ্জিতের! শ্রীলেখার হেনস্তার অভিযোগের জের?]
কেননা প্রতিটি পর্যটকরাই এদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সুন্দরবনে ঘোরার সময় জঙ্গলের মহারাজের দর্শন পেয়েছেন। কেউ কেউ আবার দুবার করেও দেখেছেন। ফলে ঘোর বর্ষায় সুন্দরবন বেড়াতে এসে মহারাজের দর্শন পেয়ে খুব খুশি পর্যটকরা। তিন ধরে টানা ছুটি থাকায় অনেকেই সুন্দর ভ্রমনে এসেছেন। ফলে এদিন সকাল থেকেই সুন্দরবনের নদীগুলোতে পর্যটকদের লঞ্চের ভিড় ছিল। কয়েকশো পর্যটকরা এদিন সুন্দরবনে বেড়াতে এসেছিলেন। তাঁরা সবাই এদিন মহারাজের দর্শন পান।
জানা গিয়েছে, এদিন সুন্দরবনের ওয়াচ টাওয়ারগুলো থেকে যেমন মহারাজের দর্শন পাওয়া যায়। তেমনই এমনি জঙ্গলের ধারেও তাদের দেখা পাওয়া যায়। সজনেখালি, সুধন্যখালি, দোবাকি প্রভৃতি জায়গার ওয়াচ টাওয়ারগুলোতে এবং জঙ্গলে বাঘকে ঘুরতে দেখা গেছে। মালদহ থেকে সুন্দরবনে বেড়াতে অর্জুন পাল জানান, এই প্রথম সুন্দরবনে বেড়াতে এসেছি। আর তাতেই জঙ্গলের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা পেলাম। এক জায়গায় বাঘকে একা ঘুরতে দেখেছি। আবার আর এক জায়গায় জড়ো বাঘও দেখেছি। এদিকে বিভিন্ন জায়গায় বাঘ দেখা যাওয়ার খবরে এদিন সুন্দরবনের নদীতে পর্যটকদের লঞ্চগুলোকে এক প্রকার বাঘের খোঁজে এধার ওধার ছুটে বেড়াতে দেখা যায়। আর বাঘের দেখা পাওয়া মাত্রই পর্যটকদের চিৎকার করতে শোনা যায়।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে একদিনে এতোগুলো টুরিস্ট স্পটে বাঘ দেখার কারণ কি হতে পারে। সুন্দরবনের বন আধিকারিকদের মতে এই সময় বাঘের প্রজননের সময়। তাই পুরুষ বাঘেরা বাঘিনীর খোঁজে এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়। আর তার ফলেই এদিন পর্যটকদের চোখে এভাবে বাঘের দেখা মিলেছে। তবে এভাবে বাঘের দেখা পাওয়ায় সুন্দরবনের পর্যটকরা অনেকটাই উৎসাহিত।