দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের তর্জন-গর্জনে ত্রস্ত কুলতলি (Kultali)। বাঘের আতঙ্কে হুড়োহুড়ি। জখম স্থানীয় এক বাসিন্দা। তাঁকে এলাকারই একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত ব্যক্তির পাশে থাকার আশ্বাস বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জোরকদমে বাঘ ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে বনদপ্তর। জাল দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। একাধিক জায়গায় পাতা হয়েছে খাঁচা। বনদপ্তরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। স্থানীয়দের প্রশ্ন, এখনও কেন বাঘকে খাঁচাবন্দি করা গেল না? রবিবার সকাল থেকে বাঁশ, লাঠি হাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
গত তিনদিন ধরে কুলতলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। শুক্রবার কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার সময় এক মৎস্যজীবী দক্ষিণরায়কে দেখতে পান। শনিবার পিয়ালি নদীর পাশে প্রথমে বাঘের পায়ের ছাপ দেখেন গ্রামবাসীরা। পরে কেল্লার জঙ্গলের কাছ থেকে শোনা যায় বাঘের গর্জন।
বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বনদপ্তর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জাল দিয়ে গোটা এলাকা ঘেরার কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন বনকর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচাও পাতা হয়েছে। তবে তাতেও লাভ কিছুই হচ্ছে না। এখনও অধরা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
[আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতনে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা, গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টে বাবা-মা]
বাঘের খোঁজ পেতে রবিবার সকালে দল বেঁধে জঙ্গলে যান গ্রামের বেশ কয়েকজন। ওই দলে ছিলেন মোতালেব মোল্লা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। দাবি, কিছু বুঝে ওঠার আগে বাঘটি তাঁকে লক্ষ্য করে লাফ দেয়। প্রাণে বাঁচতে জঙ্গলে ঝাঁপ দেন মোতালেব। তারপর কী হয়েছে আর কিছুই মনে নেই তাঁর। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। হাঁটুতে চোট পান। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
আহত ব্যক্তির পাশে থাকার আশ্বাস বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করতে বনদপ্তর যারপরনাই চেষ্টা করছে বলেও জানান। বনমন্ত্রী বলেন, “বাঘটি বর্তমানে কেল্লার জঙ্গলের কাছে একটি মাঠে রয়েছে। যাতে সে কারও ক্ষতি করতে না পারে তাই গ্রামের বেশিরভাগ অংশই জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।” বাঘ বারবার নিজের অবস্থান বদল করায় খাঁচাবন্দি করতে বেগ পেতে হচ্ছে বলেই দাবি বনকর্মীদের। গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।