সুব্রত বিশ্বাস: ফের হাওড়া স্টেশন দিয়ে টাকা পাচারের চেষ্টা। আরপিএফের তৎপরতায় ভেস্তে গেল সেই ছক। উদ্ধার হল কুড়ি লক্ষের বেশি নগদ টাকা। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার বিহারের এক যুবক। উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে হাওড়া স্টেশনে কয়েক কোটি টাকার সোনার গয়না আটক করে ছিল আরপিএফ।
শনিবার রাতে পাটনা থেকে আসা জনশতাব্দী এক্সপ্রেস থেকে নেমেই ঊর্ধ্বশ্বাসে যুবকের দৌড় দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফ কর্মীদের। ক্যাব রোড ধরে ওই যুবকের পিছু নেয় তারা। পালানোর চেষ্টা করা মাত্র তাকে ধরে ফেলে আরপিএফ। ধৃত সরোজ কুমারের ব্যাগ তল্লাশি করে সাড়ে চব্বিশ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তারা।
[আরও পড়ুন : মুর্শিদাবাদে ‘বাংলা আবাস যোজনা’য় দুর্নীতির অভিযোগ, সাসপেন্ড সরকারি কর্মী]
বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা সরোজ জানিয়েছে, তিনি হাতিদা থেকে ট্রেনে চড়েছেন। মালিক পবনকুমারের নির্দেশে এই টাকা তিনি কলকাতার বড়বাজারের এক গয়নার দোকানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই টাকা কোথা থেকে আনছেন, কাকে দেবেন, কে পাঠিয়েছেন- কোনও উত্তরের স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি। আরপিএফ তাকে জিআরপির হাতে তুলে দেয়। জিআরপি আয়কর দপ্তরে খবর দেয়। ট্রেনে ইদানিং টাকা ও সোনা পাচারের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন আরপিএফ।
এদিকে শিয়ালদহে যাত্রীর ব্যাগ চুরির অভিযোগে উঠল এক মহিলা হকারের বিরুদ্ধে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মহিলা হকার স্বপ্না বসাককে আটক করা হয়। ব্যাগ উদ্ধারের পর জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন : বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ভারচুয়ালি যোগ দেবেন মোদি, জানালেন কৈলাস]
শিয়ালদহের আরপিএফের সিনিয়র কমান্ড্যান্ট এ ইব্রাহিম শরিফ জানিয়েছেন, সোদপুর থেকে ডাউন শান্তিপুর লোকালে শিয়ালদহ আসেন টুম্পা দাস। মেয়েকে নিয়ে তিনি নেমে গেলেও সঙ্গের ব্যাগটি তিনি ট্রেনে ফেলে যান। পরে মনে পড়ায় তিনি ফিরে গিয়ে ব্যাগ না পেয়ে আরপিএফ মেন পোস্টে বিষয়টি জানান।
ইন্সপেক্টর দ্বিবেদী সিসিটিভি দেখে মহিলা যাত্রীর ব্যাগের হদিস ও যে মহিলা হকার ব্যাগটি নিয়ে যান তাকে সনাক্ত করেন। এরপর ফুটেজ আরপিএফের হোয়াটসঅ্যাপে মহিলা হকারকে খুঁজে বের করার আরজি জানানো হয়। এরপরই ওই মহিলাকে আটক করা হয়। দমদম স্টেশন থেকে উদ্ধার হয় ব্যাগটি। ব্যাগে আটশো টাকার সঙ্গে বহু গুরুত্বপূর্ন নথি ছিল বলে মহিলা যাত্রীর মত।