সুব্রত বিশ্বাস: দামি কোম্পানির কল এক্কেবারে কম দামে। এই প্রলোভনে আকৃষ্ট হয়ে কল কিনেছিল হার্ডওয়ারের দোকানগুলো। আর সেসব বিক্রি করে বেশ মুনাফা লুটছিল চোরের দলও। এই লোভই চোরদের করে তুলেছিল বেপরোয়া। টার্গেট, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজধানী এক্সপ্রেস (Rajdhani Express)। দেশের বিলাসবহুল ট্রেনের ২৯ টি কল একসঙ্গে চুরি যাওয়ার ঘটনায় চক্ষু চড়কগাছ রেলকর্তাদের।
রাজধানী এক্সপ্রেসের শৌচালয়ের দামি কল চুরি যায়। তাও হাওড়ার (Howrah) মতো জনবহুল স্টেশনে। এক আধটা নয়, একেবারে ২৯টি। একবার নয়। পরপর দু’বার চুরির ঘটনা সামনে আসায় ক্ষুব্ধ রেল কর্তারা। গত রবিবার সকাল ৯.৫০ মিনিট নাগাদ ডাউন রাজধানী এক্সপ্রেস হাওড়ার ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসার পর ২৯টি কল চুরি যায়। ইয়ার্ডে যাওয়ার পর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আরপিএফকে (RPF) এই চুরির রিপোর্ট করে।
[আরও পডুন: বিরল অসুখে খিদে বাড়ছে শিশুর, নিজের শরীর কামড়ে খাচ্ছে সে নিজেই! উদ্বেগে চিকিৎসকরা]
শুধু এবারই নয়, এর আগে গত ৩ আগস্ট একইভাবে ৬০টি কল চুরি (Theft) হয়েছিল রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে। বারবার চুরিতে রেল সম্পত্তি সুরক্ষার ক্ষেত্রে আরপিএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রেলকর্তাদের একাংশ। এরপর আরপিএফ তদন্তে নামে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া (Bankura) থেকে এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করে। তাকে জেরা করে পরপর আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আরপিএফ জেনেছে, চোরাই কলগুলি বিভিন্ন হার্ডওয়ার দোকানে বিক্রি করা হতো কম দামে। বেশ কিছু চোরাই কল উদ্ধার করেছে আরপিএফ। সন্দেহজনক দোকানে তল্লাশির জন্য আরপিএফ দুষ্কৃতীদের নাম গোপন রেখেছে।