সুব্রত বিশ্বাস: রাখে হরি মারে কে! অল্পের জন্য নিয়তির ডাক এড়ালেন ব্যক্তি। বন্দে ভারতে উঠতে গিয়ে প্রায় চাপা পড়ছিলেন তিনি। তবে রক্ষাকর্তা হয়ে এগিয়ে আসা এক আরপিএফ জওয়ানের দৌলতে তাঁর প্রাণ বেঁচে যায়। প্রকাশ্যে এসেছে এই ঘটনার ভিডিও।
রেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরে হাওড়া স্টেশনের ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বন্দে ভারত ছেড়ে যাওয়ার সময় ওই যাত্রী দৌড়ে গার্ডের কামরায় চড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু টাল সামলাতে না পেরে প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝে পড়ে যান। আটকে যান কামরা ও প্ল্যাটফর্মের মাঝে। শমন কার্যত শিয়রে এসে দাঁড়ায়। মুহূর্তের বিলম্বে ইস্পাতের চাকার তলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত নরম মানব শরীর। এহেন বিষম পরিস্থিতি দেখে দৌড়ে যান কর্তব্যরত এএসআই বিনোদ কুমার। তিনিই ওই যাত্রীকে টেনে প্ল্যাটফর্মের তুলে আনেন। ফলে এই যাত্রায় রক্ষা পান ওই ব্যক্তি। এহেন ঘটনা একাধিকবার হলেও বন্দে ভারতে তা প্রথম।
[আরও পড়ুন: এখন প্রত্যাহার, অক্টোবরের শেষের মধ্যে কেন্দ্রের উত্তর না মিললে ফের ধরনায় বসব: অভিষেক]
মঙ্গলবার ভোরে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতের এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ রেলবোর্ড-সহ রেলমন্ত্রীর এক্স হ্যান্ডেলে পৌঁছে গিয়েছে। পূর্ব রেলের আরপিএফ আইজি পরমশিব ওই এএসআই-র কাজের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। বিহারবাসী বিনোদ কর্মদক্ষতার জন্য বিভাগীয়ভাবে জনপ্রিয়। সোমবার রাতের ডিউটিতে হাওড়া নিউ কমপ্লেক্সে ছিলেন। বন্দে ভারতের যাত্রা পর্ব শেষ করে তাঁর ডিউটি শেষ করার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর অরবিন্দ কুমার। শেষ মুহূর্তে এই দুর্ঘটনায় তৎপর হন তিনি।
এদিকে, সোমবার এনজেপি থেকে হাওড়া ফেরার সময় বারসইয়ের আজমনগরে কাছে গরুকে ধাক্কা মারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ইঞ্জিনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ট্রেনটি বিকেল ৫.৫২ থেকে ৬.০১ পর্যন্ত মালদহ স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে। ক্ষতিগ্রস্থ ট্রেন পরীক্ষার পর ফের তা হাওড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর আগেও বন্দে ভারত গরুকে ধাক্কা মেরে বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার রাজ্যের ভিতর ঘটল এই ঘটনা।