সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারীর (Pandemic) মধ্যেই সেন্ট্রাল ভিস্তা (Central Vista) প্রকল্পকে ঘিরে বিতর্ক চলছে। উঠেছে নানা অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার কেন্দ্রের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে একটি দীর্ঘ তালিকা। সেখানে এই প্রকল্পকে ঘিরে তৈরি হওয়া মিথগুলিকে খণ্ডন করে সে সম্পর্কে আসল তথ্য দেওয়া হয়েছে।
দেশে আছড়ে পড়েছে অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে খরচ না বাড়িয়ে কেন সেন্ট্রাল ভিস্তার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে, ২০ হাজার কোটির এই প্রকল্প বন্ধ রেখে সেই অর্থে ৬২ কোটি করোনা টিকার ডোজ কেনা হল না কেন? পাশাপাশি দিল্লির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানে কেন এই প্রকল্প গড়া হচ্ছে বা পরিবেশের সবুজও ধ্বংস হচ্ছে, এমন নানা অভিযোগ দানা বেঁধেছে। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) স্বপ্নের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে হিটলারের আউশভিৎজ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের। প্রকল্পের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়েরও হয়েছিল। তা খারিজ হওয়ার পরে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে জনসেবায় কী কী করেছে দল? রিপোর্ট নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি]
এই পরিস্থিতিতে রবিবার প্রকাশিত হল এই তালিকা। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের মূল পরিকল্পনা ও মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হয়েছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। সেই সময় করোনার কোনও অস্তিত্বই ছিল না দেশে। যে ২০ হাজার কোটি টাকার কথা বলা হচ্ছে সে সম্পর্কেও জানানো হয়েছে সংসদের নতুন ভবন, সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ, আরও বহু ভবন ইত্যাদি মিলিয়ে যা খরচ হবে তারই একটি আনুমানিক মূল্য ওই অঙ্ক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে ১৯৫ কোটি টাকাই খরচ হয়েছে, যেখানে ২০২১-২২ সালের বাজেটে তার জন্য বরাদ্দ ছিল ৭৯০ কোটি টাকা।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থ এই প্রকল্পে ব্যবহার করা অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, জনস্বাস্থ্যে গত বছরের বরাদ্দ অর্থ এবার ১৩৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে মারণ ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য। পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার অভিযোগকেও নস্যাৎ করে দিয়েছে কেন্দ্র।