shono
Advertisement

করোনা যুদ্ধে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’দের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সেবার কাজে আরএসএসের ‘সেভিয়ার্স’

৭০ জন তরুণ সদস্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। দেওয়া হয়েছে ফোন নম্বর।
Posted: 02:56 PM May 20, 2021Updated: 03:10 PM May 20, 2021

অভিরূপ দাস: করোনা (Corona Virus) কালে গোটা বাংলায় সক্রিয় বাম ছাত্র যুবদের ‘রেড ভলেন্টিয়ার্স’ (Red Volunteers) সংগঠন। তাদের সেই প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ করে এবার মাঠে নেমেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। আরএসএসের (RSS) ৭০ জন তরুণ সদস্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। শুধু করোনা আক্রান্ত রোগীই নয় ভোট পরবর্তী হিংসায় যেসব বিজেপি (BJP) সমর্থক আক্রান্ত সেই অসহায় মানুষের পাশেও দাঁড়াচ্ছেন আরএসএস, বিজেপি, অখিল বঙ্গ বিদ্যার্থী পরিষদের ছাত্র যুবরা।

Advertisement

রাজ্যের কোন কোভিড (COVID-19) রোগীর অক্সিজেন লাগবে, কার অ্যাম্বুল্যান্স লাগবে? সব সমস্যার সমাধান করতে তৎপর সোশ্যাল সেভিয়ার্সের (Social Saviors) যুবকরা। কোথাও প্রয়োজন আছে শুনলেই চলে যাচ্ছেন সেখানে। গাড়িতে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার, কোনও কাজেই পিছিয়ে নেই দীপন মজুমদার, চয়ন মুখোপাধ্যায়রা। কলকাতায় তো বটেই, দুই মেদিনীপুর এমনকি বীরভূমেও কখনও টোটো করে আবার কখনও স্কুটি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দৌড়ে চলছে সোশ্যাল সেভিয়ার্সের সদস্যরা।

[আরও পড়ুন: ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ দিচ্ছে না, চিকিৎসা হবে কী করে?’, কেন্দ্রকে তোপ মমতার]

সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা (West Bengal Election) ভোটে একটিও আসন পায়নি বামেরা (Left)। বাংলার প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসছে বিজেপি। এবার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিযোগিতাতেও কি বামেদের কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারবে আরএসএস, বিজেপি? সোশ্যাল সেভিয়ার্সের সদস্য দীপন মজুমদারের কথায়, “রেড ভলেন্টিয়ার্স যতো না বেশি সাহায্য করছে তার চেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন করছে। মানুষকে সাহায্য করা নয়, সিপিআইএমের উদ্দেশ্য, এর মাধ্যমে ভোট নিজেদের দিকে টানা। আর এখানেই তাদের সঙ্গে আমাদের ফারাক। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বিজ্ঞাপন নয়, মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়।”

এই মুহূর্তে আরএসএস, বিজেপি, অখিল বঙ্গ বিদ্যার্থী পরিষদের সুমন্ত্র মাইতি, চয়ন মুখোপাধ্যায়, অনিকেত দত্ত, সোমক পোদ্দার, সৌমেন আইচ, সৈকত মিত্র, ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত, শেখর দুবেরা জানাচ্ছেন, তাঁদের সামনে দু’টো কাজ। এক, বিজেপির শতাধিক ঘরছাড়া সমর্থককে ঘরে ফেরানো। আর দ্বিতীয়, করোনা আবহে অনেক মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। দিন আনি দিন খাই মানুষগুলোর রোজগার নেই। অর্থ সংকটে ভোগা এই সমস্ত মানুষদের আর্থিক সাহায্য করতে হবে। ভারতীয় শিক্ষণ মন্ডলের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের সম্পর্ক প্রমুখ, দীপন মজুমদারের কথায়, “এই মুহূর্তে বাঙালি হিন্দু সমাজ একটি এক্সটেনশিয়াল ক্রাইসিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তরুণ-তরুণীদের এহেন লড়াই আমাদের সমাজের কাছে যথেষ্ট আশা ব্যঞ্জক।”

যোগাযোগের নম্বর –

  • চয়ন মুখোপাধ্যায়: ৯৮৩৬৯৩৬৯৫৭
  • দীপন মজুমদার: ৭৯৮০৪৮১১৫২

[আরও পড়ুন: ‘ছেলেটা দিনরাত এক করে কাজ করে’, করোনাকালে ‘ববি’কে পাশে না পেয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement