সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে শামিল হল আরএসএস (RSS)। শুক্রবার সংঘের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের ডিসপ্লে পিকচার বদলে দেওয়া হয়েছে। সনাতনী গেরুয়া পতাকার বদলে ডিসপ্লে পিকচারে দেওয়া হয়েছে তেরঙ্গার ছবি। শুধু তাই নয়, সংঘের সব দপ্তরেও পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতা উদযাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) ঘরে ঘরে উত্তোলিত হোক জাতীয় পতাকা। দেশবাসীর কাছে তেমন আবেদনই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এ নিয়ে চলেছে লাগাতার প্রচারও। এর মধ্যেই গত ৩১ জুলাই, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আরও একটি নতুন উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতা দিবসের কথা স্মরণে রেখে দেশবাসীকে নিজের নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে তেরঙার ছবি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। সেইমতো নিজের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ডিসপ্লে পিকচার বদলে ফেলেন মোদি নিজেও। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে বদলাতে শুরু করে দেশবাসীর সোশ্যাল মিডিয়া ডিপি। সেই উদ্যোগে শামিল হন দেশের একাধিক মন্ত্রী এবং নেতারা। এমনকি বিভিন্ন সরকারি বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেও বদল করা হয় ছবি।
[আরও পড়ুন: গোয়ার পঞ্চায়েত নির্বাচনে খাতা খুলল তৃণমূল, বেশিরভাগ আসনে জয় বিজেপির]
কিন্তু দীর্ঘদিন এই উদ্যোগে শামিল হয়নি খোদ বিজেপির (BJP) নিয়ন্ত্রক সংস্থা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছিল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস (Congress)। এ প্রসঙ্গে টুইট করেন খোদ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রশ্ন তোলেন, যারা স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও জাতীয় পতাকাকে গ্রহণ করেনি, তাঁরাই এখন বাড়ি বাড়ি পতকা তোলার কথা বলছেন। আরেক কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ প্রশ্ন করেন, “প্রধানমন্ত্রীর বার্তা সম্ভবত তাঁর পরিবারের কাছেই পৌঁছয়নি। ৫২ বছরে নাগপুরে আরএসএসের সদর দপ্তরে যাঁরা একবারও জাতীয় পতাকা তোলেননি, তাঁরা কি প্রধানমন্ত্রীর কথা আদৌ মানবেন?”
[আরও পড়ুন: দেশে কমছে করোনার অ্যাকটিভ কেস, স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের]
এবার বিরোধীদের সেই সব প্রশ্নের জবাব দিল সংঘ। শুক্রবার থেকে পুরোদম ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে’ শামিল হয়ে গেল আরএসএস। সংঘের প্রচার প্রধান সুনীল আম্বেকর জানালেন, আমরা আগেই ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ এবং ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ অনুষ্ঠানে সমর্থন জানিয়েছি। জুলাই মাসেই আমরা দেশবাসীর আছে এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। সংঘের স্বয়ংসেবকরাও দেশজুড়ে এই কর্মসূচির প্রচার করছে।