সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় জম্বি ছবি? ও তো হলিউডের জঁর। বটে! তবে এধরনের পাশ্চাত্য ভাবনা এবার ঢুকে পড়েছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও। এইপ্রথম বাংলায় তৈরি হচ্ছে জম্বি ঘরানার ছবি। নাম ‘জম্বিস্থান’।
[আরও পড়ুন: সেন্সর বোর্ডের সবুজ সংকেত, ‘গুমনামি’ বিরোধীদের কিস্তিমাত সৃজিতের]
হলিউডে অন্যতম জনপ্রিয় জঁর জম্বি সিনেমা। বাংলা ছবিতে ব্রহ্মদত্যি, রক্তখেকো ভূতেদের আনাগোনা সেভাবে খুব একটা নেই। সিনেপ্রেমী বাঙালিরা অবশ্য পাশ্চাত্যের এই ঘরানাকে অনায়াসে আমল দিয়েছে তাঁদের ছবি দেখার তালিকায়। ‘গো গোয়া গন’-সহ বলিউডে আরও দু’-একটা জম্বি সিনেমার কাজ হলেও বাংলা ছবিতে মোটেই আবিষ্কৃত হয়নি এই ঘরানা। তবে এই প্রথমবারের জন্য একটু ‘আউট অফ দ্য বক্স’ গোছের বিষয় ভেবেছেন পরিচালক অভিরূপ ঘোষ। ‘জম্বিস্থান’-এর জন্য জুটি বেঁধেছেন রুদ্রনীল ঘোষ এবং তনুশ্রী চক্রবর্তী। ছবির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন রজতাভ দত্ত। ছবির শুটিং শুরু হয়েছে সদ্য।
‘রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজ’-এর দৌলতে পরিচালক হিসেবে অভিরূপ বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। আর বাংলা ছবিতে হলিউডের সেই জনপ্রিয় জঁর আনতে ‘জম্বিস্থান’-এর মাধ্যমেই সেই উদ্যোগটা নিলেন তিনি। আচ্ছা কেমন হয়, যদি বর্তমান সময়কে একটু ফার্স্ট ফরওয়ার্ড করে দিয়ে আপনাকে হঠাৎ ভবিষ্যৎ দর্শন করানো যায়? বেশ রোমাঞ্চকর লাগছে শুনতে তাই না? পরিচালকও ঠিক তাই করেছেন ‘জম্বিস্থান’-এ। সময়টাকে এগিয়ে দর্শককে নিয়ে গিয়েছেন ভবিষ্যতে, যেখানে মনুষ্যজাতির অস্তিত্ব বিপন্ন। ঠিক এমনই একটি পরিস্থিতিতে ‘জম্বিস্থান’-এর গল্প ফেঁদেছেন অভিরূপ। কালের যেই পরিবর্তনের সংজ্ঞা পরিচালকের কাছে অন্যরকম। যাকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন ‘ব্ল্যাক ডে’ বলে।
‘জম্বিস্থান’-এর গল্পটা কী? রিল টাইমে ২০৩০ সালকে ধরতে চেয়েছেন অভিরূপ ঘোষ। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে বায়ো কেমিক্যাল অস্ত্রের আঘাতে প্রায় গোটা মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছে। সেখানে কয়েকটি মানুষের বাঁচার লড়াই ফুটে উঠবে তাঁর ফ্রেমে। তবে তাদের পরিস্থিতি এবং উদ্দেশ্য পুরোটাই আলাদা। গল্পটা শুনে একটু অন্য ধরনের মনে হলেও ছবির চরিত্রগুলো মজার। একটি অঞ্চলে যেমন একমাত্র জীবিত তনুশ্রীর চরিত্রটি। যার নাম আকিরা। সে নিজে যেমন বাঁচার চেষ্টা করে। তার সঙ্গে যে ক’জন জীবিত তাদেরও উদ্ধারের চেষ্টা করে চলেছে প্রানপণে। সেই জার্নিতেই তনুশ্রীর সঙ্গে দেখা হয় রুদ্রনীল এবং রজতাভর চরিত্রের। এই দু’জনের চরিত্রের মধ্যেও রয়েছে একাধিক পরত। রুদ্রনীলের চরিত্রের নাম অনিল চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: রানাঘাটের রানুকে ফ্ল্যাট উপহার সলমনের! পেলেন ‘দাবাং থ্রি’-তে প্লে-ব্যাকের প্রস্তাবও]
যেহেতু নতুন ঘরানার ছবি, তাই বাঙালি দর্শকরা কী ‘জম্বিস্থান’-এ মজবে? পরিচালক অভিরূপের কথায়, নবপ্রজন্মের বাঙালি দর্শকরা কিন্তু এখন গোটা বিশ্বের সিনেমা দেখছে। ‘গেম অফ থ্রোনস’, ‘ওয়াকিং ডেড’ অনেকেই দেখেছেন। তাই ‘জম্বিস্তান’ নবপ্রজন্মের ভাল লাগবে বলেই আশা করা যায়। উল্লেখ্য হলিউডের জম্বি ছবিগুলিরও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘সার্ভাইভাল স্ট্র্যাটেজি’। ঠিক সেরকমই অভিরূপের ‘জম্বিস্থান’ও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে অন্য জম্বি সিনেমার চেয়ে এ ছবি কতটা আলাদা, সেটাই দেখার অপেক্ষা। এছাড়া অভিনয়ে রয়েছেন দেবলীনা বিশ্বাস, জিনা তরফদার, সৌরভ সাহা-সহ আরও অনেকেই। ক্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন অঙ্কিত সেনগুপ্ত। সংগীত পরিচালনায় মেঘ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিরাজ সেন।
The post বাংলার প্রথম জম্বি ছবির জন্য জুটি বাঁধলেন রুদ্রনীল-তনুশ্রী appeared first on Sangbad Pratidin.