সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্দায় বলিষ্ঠ নারীচরিত্রে অভিনয় করার পাশাপাশি এবার সমাজে নারীর অবস্থান নিয়ে সুর চড়ালেন রুক্মিণী মৈত্র। একুশ শতকের যুগেও যেখানে মেয়েরা চাঁদে পাড়ি দিয়েছে কিংবা ইসরো, নাসার মহাকাশবিজ্ঞানে যুগান্তকারী পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, তবুও তথাকথিত আধুনিক সমাজের একাংশ, মেয়েদের ঘরকন্নার মধ্যে বেঁধে রাখতেই ভালবাসে। কিংবা হয়তো স্বীকৃতি দিয়ে কুণ্ঠাবোধ করে! বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। কর্মপরিচয়ের থেকেও কখনও কখনও নারীদের পোশাকের মাপ-ঝুলেই নজর আটকে যায় সমাজের। দ্রৌপদীর চরিত্রে ময়দানে নামার আগেই এবার সমাজে নারীদের অবস্থানের কথা রুক্মিণী মৈত্রর মুখে।
‘দ্রৌপদী’র পোস্টার করে অভিনেত্রীর মন্তব্য, “মহাভারতের সময় থেকেই নারীর অপমানের শুরু কিনা জানি না, তবে নারীর অপমানের দণ্ড পেতে হয়েছিল কুরু বংশের সবাইকে। আজও সমাজ নারীর অধিকার এবং সাফল্যকে মেনে নিতে দ্বিধা বোধ করে! ‘দ্রৌপদী’ তুলে ধরবে অপমানিত নারী সম্প্রদায়ের কাহিনী। এই দুর্গম যাত্রায় আপনাদের আশীর্বাদ পেলে খুশী হব।”
প্রসঙ্গত, ‘নটী বিনোদিনী’, ‘সত্যবতীর’ পর এবার ‘দ্রৌপদী’র ভূমিকায় অবতরণ করতে চলেছেন রুক্মিণী। তার জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। বিনোদিনীর চরিত্রে অভিনয়ের আগে যেমন ২ বছর নাচ শিখেছেন কিংবা সুদীপ্তা চক্রবর্তীর কাছে অভিনয়ের তালিম নিয়েছেন, তেমনই মহাভারতের বলিষ্ঠ নারীচরিত্রের জুতোতে পা গলানোর আগেও যে কোনওরকম কসরত বাকি রাখবেন না, তা বলাই যায়। পরিচালনায় রামকমল মুখোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: রণবীর-টোটার ‘ডোলা রে’ নাচ দেখে কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে ঝড়! কী বলছেন করণ জোহর?]
‘নটী বিনোদিনী’তেও রামকমলের পরিচালনায় অভিনয় করেছিলেন রুক্মিণী। আর সেখানে তাঁর অভিনয় ও ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়েই পরিচালক তাঁর মধ্যে নিজের মতো করে ‘দ্রৌপদী’কে খুঁজে পেয়েছেন। প্রযোজক দেবও পরিচালকের গবেষণা দেখে বেশ খুশি। বলছেন, “রামকমলের গল্প বলার মধ্য়ে একটা সুন্দর নন্দনতত্ত্ব লুকিয়ে রয়েছে। যা আমার বেশ পছন্দ।” তাই এই ছবিতে টাকা ঢালতে অমত করেননি দেব।
নতুন ছবি প্রসঙ্গে রুক্মিণীর মন্তব্য, “রামকমল অনেকদিন ধরেই চাইছিলেন দ্রৌপদীকে নিয়ে ছবি করবেন। তবে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছিলেন। মহাভারতের দ্রৌপদী চরিত্রটি অসামান্য। প্রচুর শেডস রয়েছে। বিনোদিনীর পর আমার কাছে এটা আরেকটা চ্যালেঞ্জিং চরিত্র।”