shono
Advertisement

কলের জলের সঙ্গে বেরচ্ছে শ্যাওলা, ব্যাঙাচি! চাঞ্চল্য মালবাজারে

জল নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা।
Posted: 05:09 PM Jan 16, 2024Updated: 05:41 PM Jan 16, 2024

অরূপ বসাক, মালবাজার: পানীয় জলের কল দিয়ে বেরচ্ছে ব্যাঙাচি! জলে ভাসছে শ্যাওলা! যা দেখে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালবাজার শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কলোনির পাল পাড়া এলাকায়। শুধু ওই ওয়ার্ডেই নয় পানীয় জল নিয়ে একই অভিযোগ এসেছে মালবাজারের আরও দুটি ওয়ার্ড থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় জল নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, সোমবারের পর মঙ্গলবার সকালেও একই ঘটনা ঘটে। মাল শহরের দক্ষিণ কলোনির পাল পাড়া এলাকার বাসিন্দারা রাস্তার টাইম কল থেকে পানীয় জল ভরে ঘরে নিয়ে যান। জল নিয়ে আসার পর দেখেন তাতে বেশ কিছু ব্যাঙাচি ভাসছে। পানীয় জলের মধ্যে ব্যাঙাচি দেখে শোরগোল পরে যায় পাল পাড়ায়। এলাকার এক যুবক সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেন। সেই ভাইরাল ভিডিও দেখে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কাজে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়।

[আরও পড়ুন: ধারালো অস্ত্র দিয়ে টোটোচালককে কুপিয়ে খুন! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]

এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এলবার্ট বসন্ত কুজুর জানান, “পিএইচি বিভাগের টাইম কলে জলের সঙ্গে ব্যাঙাচি আসলে, সেটা কখনওই পানীয় জল হতে পারে না। বিষয়টি তাদের সমাধান করা উচিত।” এলাকার আরেক যুবক আশুতোষ পাল জানান, “বাড়িতে পুরসভার জলের লাইন নেওয়া আছে, সেটা দিয়েও জলের সঙ্গে ব্যাঙাচি আসছে। যার ফলে সেই জল এখন আর খাওয়া যাচ্ছে না।” একই অভিযোগ এসেছে ১১ এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেরও বেশ কিছু এলাকা থেকে। শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে পানীয় জলের সঙ্গে শ্যাওলা আসারও অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে কোথাও লার্ভা, কোথাও ব্যাঙাচিতে শহরজুড়ে জল নিয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

পানীয় জলের মধ্যে ব্যাঙাচি দেখে শোরগোল পরে যায় পাল পাড়ায়

বিশেষজ্ঞদের ধারণা জলের পাইপে বা ট্যাঙ্কে কোনও ফাঁকা জায়গা থাকলে সেখান দিয়ে পোকামাকড় ঢুকে পড়তে পারে। জলের রিজার্ভারগুলো যদি নির্দিষ্ট সময়ের পর পরিষ্কার না করা হয় তাহলেও একই রকম সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্ত সম্ভাবনা যদি সঠিক হয় তাহলে অসুখ-বিসুখ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও প্রবল। পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. সমর দাসগুপ্ত জানিয়েছেন, “জলের শুদ্ধতায় ন্যূনতম হেরফের হলেই খাবারের পুষ্টিগুণ নেমে যায়।” মাল পুরসভার জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাউন্সিলর নারায়ণ দাস বলেছেন, “ব্যাঙাচির বিষয়টি নজরে এসেছে, সমাধানের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” স্থানীয় কাউন্সিলর মনিকা সাহা বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার