সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এককাট্টা থাকার বার্তা দিল আন্তর্জাতিক মহল। জাপ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানিয়েছেন, একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে উত্তর কোরিয়া যে বার্তা দিতে চাইছে, তার বিরোধিতায় এবার আসরে নেমে পড়েছে জাপান ও আমেরিকার মিত্র রাষ্ট্রগুলি। আর তারই ফল হিসাবে এবার উত্তর কোরিয়ার খুব কাছে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করে দিল চিন ও রাশিয়া।
বোঝাই যাচ্ছে, এই মুহূর্তে পিয়ংইয়ংয়ের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদের একমাত্র মিত্র চিনও। কারণ, চিনের পক্ষে একা উত্তর কোরিয়াকে সমর্থন জানানো দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছিল। আমেরিকা, রাশিয়া এমনকী ভারতও উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের আচরণে ক্ষুব্ধ, বিরক্ত। কোনও কারণ ছাড়াই একের পর এক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে কোরীয় উপসাগরীয় অঞ্চলকে শান্ত করে তুলেছেন কিম। কিমের আচরণে রীতিমতো আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। গত শুক্রবারই জাপানের উপর দিয়ে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। ৩ সেপ্টেম্বরের তাদের সবচেয়ে মারাত্মক হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষার পর থেকে আজ পর্যন্ত মোট ছ’বার জাপানকে চমকে মিসাইল ছুড়েছেন কিম।
[ভারতীয় নৌসেনাকে যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে উদ্যোগী মিগ]
এই পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহেই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশন বসতে চলেছে। তার উপর সোমবার থেকে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া সীমান্তে শুরু হল ব্যাপক সামরিক মহড়া। এই নিয়ে চলতি বছরে দু’বার চিন ও রাশিয়ার নৌসেনা সামরিক মহড়া চালাল। যদিও উত্তর কোরিয়াকেই নিশানা করে যে এই মহড়া, সে কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করতে চাইছেন না সেনাকর্তারা। এখনও পর্যন্ত এই দ্বন্দ্বে চিন ও রাশিয়া- দু’পক্ষই শান্তির পক্ষে আলোচনা চেয়েছে। জাপ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বার্তা দিয়েছেন, কিম জং উনের বিরুদ্ধে সমস্ত রাষ্ট্রকে এককাট্টা হয়ে কড়া বার্তা দিতে হবে। রবিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে তিনি একথা জানিয়েছেন।
[জানেন, পাকিস্তানকে চাপে রাখতে এবার কী করতে চলেছে ভারত?]
তিনি বলছেন, ‘কূটনীতি ও আলোচনার পথে হেঁটে এখন আর লাভ নেই। এবার সময় এসেছে সামরিক পদক্ষেপের।’ তবে এখনই কট্টর পথে না হেঁটে আরও একটু সময় চেয়ে নিয়েছে চিন। বেজিংয়ের বিশ্বাস, আলোচনাই এই সমস্যার সমাধানের একমাত্র পথ। সোমবার চিনের সরকারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়াকে আর একটু সময় দেওয়া হোক। আপাতত তাদের জন্য বরাদ্দ অর্থ বা বাণিজ্যিক চুক্তি বাতিল করে চাপ বাড়ানো হয়েছে। তবে চিনের মতো এতটা নরম মনোভাব নয় পেন্টাগনের। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার হামলার মোক্ষম জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে আমেরিকার। আর আমেরিকা জবাব দিলে সেটা কেবল ফাঁকা বুলি হবে না। আমেরিকা জবাব দেবে বুলেট ও ক্ষেপণাস্ত্রে।
[হাক্কানি নেটওয়ার্ক গুঁড়িয়ে দিতে পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলা ]
The post উত্তর কোরিয়াকে ‘ঠান্ডা’ করতে ব্যাপক মহড়া শুরু চিন-রাশিয়ার appeared first on Sangbad Pratidin.