সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ (Ladakh) নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে চলা সীমান্ত বিবাদে মধ্যস্থতা করার কোনও পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতে সদ্য নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপোভ।
[আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব নিয়ে ভুয়ো তথ্য, মন্ত্রিত্ব গেল পাকিস্তানের মন্ত্রীর, ফেরাতে হবে বেতনও]
রুশ সংবাদ সংস্থা ‘Sputnik’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশ রাষ্ট্রদূত আলিপোভ বলেন, “আমাদের মধ্যস্থতাকারী হওয়ার (ভারত ও চিনের মধ্যে) কোনও পরিকল্পনা নেই। এর কারণ হচ্ছে, বিবাদে জড়িত উভয়পক্ষই মনে করে বিষয়টি একান্তই দ্বিপাক্ষিক। এই অবস্থানকে সম্মান করে মস্কো। তাই এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা বাঞ্ছনীয় নয়। তবে তারা (ভারত ও চিন) যদি মধ্যস্থতার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।”
শীতকালে হিমাঙ্কের বহু নিচে নেমে যায় পূর্ব লাদাখের তাপমাত্রা। তাই শীত নামার আগেই নিয়ন্ত্রণরেখায় শুরু হয় প্রস্তুতি। সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে বদলেছে পরিস্থিতি। ওই বছরের জুনে গালওয়ানে চিনা আগ্রাসনের পর থেকে ভারতও প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। পরবর্তী সময়ে কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় স্তরেই চলেছে আলোচনা। কোনও কোনও অঞ্চল থেকে লালফৌজ প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও সামগ্রিক ছবিটা এখনও উদ্বেগজনকই রয়ে গিয়েছে। অতি সম্প্রতি ভুটান সীমান্তের ভিতরে চিনের তৈরি দু’টি গ্রামের সন্ধানও মিলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও চিন দুই দেশের উপরই বিস্তর প্রভাব রয়েছে রাশিয়ার। কৌশলগত কারণেই দুই বন্ধু দেশের মধ্যে যুদ্ধ হোক তা চায় না মস্কো। বেজিংয়ের আগ্রাসন নয়াদিল্লিকে আমেরিকার আরও কাছে ঠেলে দেবে। তাই পর্দার আড়ালে লাদাখ নিয়ে দৌত্য অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। বলে রাখা ভাল, গত সপ্তাহে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংএবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন করমর্দন করে জানিয়েছেন, আমেরিকার একনায়ক-সুলভ আচরণের বিরুদ্ধে তাঁরা একজোট। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এহেন বিবৃতিতে কিছুটা উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লিও। এহেন পরিস্থিতিতে লাদাখ ইস্যুতে ভারসাম্য রক্ষা করে ভারতকে আশ্বস্ত করল রাশিয়া।