সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে সংঘাতে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছেন তিনি। একইসঙ্গে, কোভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পটভূমিতে আঞ্চলিক সংকট মোকাবিলায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে একাধিক প্রস্তাব রেখেছেন তিনি। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) ৭৮তম অধিবেশনে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বাংলাদেশকে অশোধিত তেল বিক্রি করতে চায় রাশিয়া]
এদিন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, “অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপ প্রয়োজন। আমি যে প্রস্তাবগুলো রেখেছি তা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে এসক্যাপ বিবেচনা করতে পারে এবং অবিলম্বে পরিস্থিতি মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
শেখ হাসিনার প্রস্তাবগুলি হচ্ছে, জ্ঞান এবং উদ্ভাবনের জন্য সহযোগিতার সুবিধার্থে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দেশগুলোতে পর্যাপ্ত তহবিল এবং প্রযুক্তি বরাদ্দের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত হয়ে সহায়তা করা। এদিন শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব পুনরুদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন রুশ-ইউক্রেনীয় সংঘাত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।”
এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি রাশিয়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি। আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি বলেছেন, “ইউক্রেন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ থাকা সত্ত্বেও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ তার অবস্থান প্রমাণ করেছে।” মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনে ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ: কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর’ শীর্ষক আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ঢাকার ধারাবাহিকতা এবং মস্কোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করি।” এর আগে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে চাপ থাকার পরও বাংলাদেশ নিরপেক্ষতা বজায় রাখায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।