সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে তলব করেছে মস্কো। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় রুশ জাহাজের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে খবর।
রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতি জারি করে বলেছে, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় রুশ জাহাজের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পদক্ষেপ ‘ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।’ এই সমস্ত বিষয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে তলব করা হয়।
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার সাতটি সংস্থার ৬৯টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। পরে যে সমস্ত রুশ জাহাজ মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে, সেসব জাহাজ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঢাকা। মস্কোকে অনুমোদিত জাহাজ ব্যবহার করতে বলা হয়।
[আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে শাশুড়িকে নিয়ে পালাল জামাই, আদালতের দ্বারস্থ ‘হতভম্ব’ শ্বশুর]
বলে রাখা ভাল, ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের জেরে রাশিয়ার (Russia) ওপর বেশি কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলি। সেই তালিকায় রাশিয়ান ব্যাংক, জাহাজ ও পণ্য রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক লেনদেন যোগাযোগ পরিষেবা সুইফটও রাশিয়ার ব্যাংকের সঙ্গে সব ধরনের আর্থিক লেনদেন বন্ধ রেখেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশও রাশিয়ার সঙ্গে কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারছে না। আবার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটম। ২০২৪ সাল থেকে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর অংশ হিসেবে যন্ত্রপাতির চালান নিয়ে জানুয়ারিতে আসে ‘উরসা মেজর’। কিন্তু কূটনৈতিক চাপে জাহাজটি পণ্য খালাসের অনুমতি পায়নি। পরে জাহাজটি ভারতের হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাসের জন্য গেলে সেখানেও তা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত পণ্য নিয়েই দেশে ফিরে যায় রুশ জাহাজটি।