সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন ‘ভূতের মুখে রামনাম’। জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদী হিসেবেই যাদের একমাত্র পরিচয়, তারাই কি না যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তির বাণী শোনাচ্ছে! চলতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine Conflict) আবহে এমনই অভূতপূর্ব পদক্ষেপ করেছে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকা তালিবান (Taliban) সরকার। বিবৃতি জারি করে তারা দু’দেশকে সংযত হয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে তারা। পাশাপাশি, আফগান ছাত্রদের নিরাপত্তা নিয়েও তারা উদ্বেগপ্রকাশ করেছে। বিষয়টিও খেয়াল রাখতে দু’দেশকে অনুরোধ করেছে তালিবান।
জানা গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন আফগানিস্তানের (Afghanistan)তালিবান সরকার! শুক্রবার তালিবানের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘‘ইউক্রেনের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে আফগানিস্তান আমিরশাহী। নিরীহ নাগরিকদের মৃত্যু নিয়ে চিন্তিত আমরা চিন্তিত। দু’পক্ষকেই যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছে আফগানিস্তান আমিরশাহী। এমন পদক্ষেপ করা উচিত নয়, যাতে হিংসা আরও ছড়িয়ে পড়ে। আফগানিস্তান আমিরশাহী চাইছে, হিংসার পথ এড়িয়ে সমস্যা মিটুক। আমাদের বিদেশনীতি অনুযায়ী এক্ষেত্রেও নিরপেক্ষ অবস্থান আমাদের। আমরা চাই, হিংসার পথ ছেড়ে আলোচনার টেবিলে বসুক দুই দেশ।’’
[আরও পড়ুন: সাতসকালে ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা, চূড়ান্ত দুর্ভোগ নিত্যযাত্রীদের]
অন্যদেশের মতো আফগানিস্তানের পড়ুয়া ও অভিবাসীরাও ইউক্রেনে (Ukraine) আটকে রয়েছেন। দু’ পক্ষকেই আফগান নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার আরজি জানিয়েছে তালিব সরকার। উল্লেখ্য, একই ধরনের সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমেই কান্দাহার, হেরাত, জালালাবাদ, মাজার-ই-শরিফের মতো বড় শহরের পতন ঘটিয়ে ২০২১’এর ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান। তার আগেই ২০ বছর পর যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। ক্ষমতা দখলের পর তালিবানের-সহ প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের নেতৃত্বে তালিবান সরকার গঠন করলেও পাকিস্তান (Pakistan) ও চিন (China)ছাড়া কোনও দেশ তাদের স্বীকৃতি দেয়নি।