shono
Advertisement

Breaking News

এর নেই কোনও মার! ইউক্রেনে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ প্রয়োগ রাশিয়ার

গত কয়েকমাসে ইউক্রেনে হামলার ঝাঁজ বাড়িয়েছে রাশিয়া।
Posted: 10:45 AM Feb 13, 2024Updated: 10:51 AM Feb 13, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের কোনও মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের ক্ষমতা নেই এই ‘মৃত্যুদূত’কে রুখে দেওয়ার। ইউক্রেন যুদ্ধে এই প্রথম জিরকন মিসাইল ব্যবহার করল রুশ ফৌজ। সোমবার এমনটাই দাবি করেছেন কিয়েভ সায়েন্টিফিক-রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান আলেকজান্ডার রুভিন।       

Advertisement

দুবছর পূর্ণ হতে চলেছে রাশিয়া বনাম ইউক্রেন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের। গত কয়েকমাসে ইউক্রেনে হামলার ঝাঁজ বাড়িয়েছে মস্কো। আক্রমণের ধার তীব্র করতে নতুন নতুন হাতিয়ার ব্যবহার করছে রুশ বাহিনী। তবে এই প্রথম তারা জিরকন মিসাইল ব্যবহার করেছে বলে খবর। রয়টার্স সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে কিয়েভে আছড়ে পড়েছিল রাশিয়ার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’টি। সমর বিশ্লেষকদের মতে, কিয়েভে যদি জিরকন মিসাইলের হামলা প্রমাণিত হয় তাহলে এই যুদ্ধাস্ত্রের মোকাবিলা করা আগামিদিনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে ইউক্রেনের বায়ুসেনার কাছে। 

[আরও পড়ুন: আবু ধাবি সফরে মোদি, প্রধানমন্ত্রীর ‘বিকশিত ভারতের’ কথা শুনবেন হাজার হাজার প্রবাসী]

সোমবার টেলিগ্রামে এই হামলার কথা জানান আলেকজান্ডার রুভিন। ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো পরীক্ষানিরিক্ষা করে তাঁর প্রাথমিক অনুমান মিসাইলটি গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অন্দরে আঘাত হেনেছিল। রুভিন মিসাইলটির বিভিন্ন টুকরো একত্রিত করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। কয়েকটি অংশ চিহ্নিত করে তিনি দাবি করেন উপাদানগুলো 3M22 জিরকন মিসাইলেরই অংশ। যদিও রাশিয়া এখনও পর্যন্ত এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে মুখ খোলেনি। জানা গিয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারির ওই হামলায় অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক বাড়ি ও বৈদ্যুতিক পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  

বলে রাখা ভালো, ২০১৯ সালে প্রথমবার এই মিসাইলটির কথা জনসমক্ষে জানিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর দাবি ছিল, এই হাতিয়ারটি কার্যত ‘অজেয়’। সর্বোচ্চ মাক-৯ (ঘণ্টায় ৯ হাজার কিলোমিটার) গতিবেগে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম জিরকন মিসাইল। রুশ রণতরী ও সাবমেরিনগুলোতে মোতায়েন থাকবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর পর ২০২১ সালের জুলাই মাসে জিরকন হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে রুশ সেনাবাহিনী। গত দুবছরে রাশিয়া এই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ প্রয়োগ করেনি। কিন্তু এবার নাকি ইউক্রেনকে চাপে ফেলতে এই হাতিয়ারই ব্যবহার করেছে মস্কো। 

উল্লেখ্য, যত দিন যাচ্ছে আরও ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে এই যুদ্ধ। কোনও দেশই একে অপরকে একচুলও জমি ছাড়তে নারাজ। লড়াইয়ে শুরুতে বিপাকে পড়লেও কাউন্টার অফেন্সিভে রণক্ষেত্রের চেনা ছবি বদলে দিয়েছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। রুশবাহিনীর প্রতিটা হামলার কড়া জবাব দিচ্ছে তারা। দুবছর পূর্ণ হতে চললেও এখনও এই যুদ্ধের কোনও রফাসূত্র মেলেনি। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement