সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনে আরও বড়সড় হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন পুতিন (Vladimir Putin)। দেশের রিজার্ভ বাহিনীতে নাম থাকা ও সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত কিন্তু শারীরিকভাবে সক্ষম ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের ফের ফৌজে নিয়োগের জন্য ডিক্রি জারি করেছেন তিনি। আর তারপরই রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ার যেন ধুম পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের দেশে গতকাল, বুধবারই জারি হয়েছে নয়া নিয়ম। এবার থেকে সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অনুমতি না নিয়ে ১৮ থেকে ৬৫ বছরের পুরুষরা রাশিয়া (Russia) ছাড়তে পারবেন না।
বুধবারই দেখা যায়, রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তানে যাওয়ার সমস্ত উড়ানের টিকিটই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সেদেশের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অ্যাভিয়াসেলসের দাবি তেমনই। এদিকে তুরস্কের উড়ান সংস্থার ওয়েবসাইটেও জানানো হয়, শনিবার পর্যন্ত রাশিয়া থেকে তুরস্কে নামা সমস্ত বিমানের টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এরপরই টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ওই ঘোষণা করেন পুতিন।
[আরও পড়ুন: পুরভোটে অর্পিতাকে প্রার্থী করার মরিয়া চেষ্টা ছিল পার্থর, ফাঁস হল নয়া তথ্য]
আসলে ইউক্রেনে একের পর এক সামরিক বিপর্যয়ে রীতিমতো ক্রুদ্ধ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘরে ও বাইরে প্রবল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপের মুখে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সেদেশের পুরুষরা ভয় পাচ্ছেন, যে কোনও সময় দেশে মার্শাল আইন চালু হয়ে যাবে। যার ফলে সাধারণ নাগরিককেও যুদ্ধে অংশ নিতে ডাকা হতে পারে। আর এই আতঙ্কেই শুরু দেশ ছাড়ার হিড়িক। যা রুখতেই জারি নয়া নির্দেশ।
এমনও শোনা যাচ্ছে, ইউক্রেনের উপরে চাপ বাড়াতে যুদ্ধে অপরাধীদেরও যুক্ত করার পদক্ষেপ করছে রাশিয়া। যে অপরাধীরা যুদ্ধে যাবে তাদের মাসিক ১ লক্ষ রুবল পুরস্কার দেওয়া হবে। ৬ মাস যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের অপরাধও মাফ করে দেওয়া হবে। শোনা যাচ্ছে, সেই অপরাধীদের মধ্যে সিরিয়াল কিলাররাও রয়েছে। ‘ডেইলি বিস্টে’র দাবি, এদের মধ্যে একজন নরখাদক!
[আরও পড়ুন: এবার গঙ্গার নিচ দিয়ে চলবে পণ্যবাহী গাড়ি! টানেল তৈরির জন্য শুরু সমীক্ষা]
উল্লেখ্য, ছ’মাসেরও বেশিদিন ধরে প্রবল যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। শুরুর দিকে লড়াইয়ের ময়দানে রুশ ফৌজ সাফল্য পেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা ভারী হয়েছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর। ইতিমধ্যে হানাদারদের হঠিয়ে খারকভ অঞ্চলের প্রায় গোটাটাই ফের দখল করে নিয়েছে তারা। আশঙ্কা, পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউক্রেনে পারমাণবিক এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। এবার সেনাবাহিনীতে সাধারণ মানুষ ও অপরাধীদেরও যুক্ত করে পাল্লা ভারী করতে চাইছেন পুতিন।