সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশ বছর পূর্ণ হয়েছে চিনের বিতর্কিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের। সেই উপলক্ষে বেজিংয়ে আয়োজন করা হয়েছে এক সম্মেলনের। আমন্ত্রিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে কমিউনিস্ট দেশটিতে পা রাখলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সুযোগেই পশ্চিমের দেশগুলোর বিরুদ্ধে জোট গড়ার ক্ষেত্রে একজোট হতে পারে দুই দেশ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। তবে, এই গোটা ঘটনাবলি ভারতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এএফপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯:৩০টা নাগাদ চিনে পৌঁছন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন (Vladimir Putin)। ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পুতিন। মূলত, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হবে। এর পর তাঁরা যোগ দেবেন বেল্ট অ্যান্ড রোড ( Belt and Road Initiative) ফোরামে।
[আরও পড়ুন: তেল আভিভে মার্কিন বিদেশ সচিব থাকাকালীনই ইজরায়েল সফরে বাইডেন]
বলে রাখা ভালো, মুখে চিন (China) যাই বলুক না কেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প আসলে ফাঁদ বলেই মনে করেন অধিকাংশ বিশ্লেষক। পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে ঋণের ফাঁদ পেতেছে কমিউনিস্ট দেশটি। ভারত বরাবর এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এসেছে। কারণ, চিনা প্রকল্পের একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে। ফলে বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত বেল্ট অ্যান্ড রোড সম্মেলনে নজর রাখবে নয়াদিল্লি।
অন্যদিকে, বিশ্লেষকদের মতে, এখন মধ্যপ্রাচ্যের হামাস বনাম ইজরায়লের (Israel) লড়াইয়ে ব্যস্ত আমেরিকা। ইহুদি দেশটির পাশে দাঁড়িয়ে সামরিক সাহায্য় করছে ওয়াশিংটন। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছে রাশিয়া। ফলে ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুতিনের চিনে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ যুদ্ধের ময়দানে মস্কোর উপর চাপ বাড়াচ্ছে হোয়াইট হাউস। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কিয়েভকে সাহায্য করছে ওয়াশিংটন। এই প্রেক্ষিতে আমেরিকা বিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চাইছেন পুতিন।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে মুহুর্মুহু রকেট ও ড্রোন হামলা রাশিয়ার, দেড় বছর ডিঙিয়েও অব্যাহত যুদ্ধের ঝাঁজ]