সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরির টোপ দিয়ে ভারতীয়দের যোগ দেওয়ানো হয়েছে রুশ সেনায়। জোর করে তাঁদের নামানো হচ্ছে যুদ্ধের ময়দানে। চলতি বছরের গোঁড়ার দিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল বিতর্কের মুখে পড়ে কেন্দ্র। নড়েচড়ে বসে বিদেশমন্ত্রক। কিন্তু ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন। এখন কতজন রয়েছেন রাশিয়ার ফৌজে? কবে তাঁরা ফিরবেন দেশে? শুক্রবার এনিয়েই সংসদে কথা বলেন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
রুশ সেনা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভারতীয়দের দ্রুত দেশে ফেরানো নিয়ে সেদেশের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছে বিদেশমন্ত্রক। এখনও ৬৯ জন রয়েছেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে। তাঁদের অব্যাহতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। যা নিয়ে এদিন লোকসভার প্রশ্ন-উত্তর পর্বে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর বলেন, "আমাদের কাছে যা তথ্য রয়েছে সেই অনুযায়ী মোট ৯১ জন ভারতীয় রাশিয়ার সেনায় যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর মধ্যে ৮ জন নিহত হয়েছেন। ১৪ জন ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। এখনও ৬৯ নাগরিকের অব্যাহতি পাওয়া বাকি রয়েছে।"
[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: অভিযুক্তদের জামিন দিতে পারবে নিম্ন আদালত, অনুমোদন সুপ্রিম কোর্টের]
যাঁরা এখনও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রুশ সেনায় রয়েছেন তাঁদের ফেরানো নিয়ে কী পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র? জয়শংকর জানান, "আমরা এই বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমি নিজে বহুবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেছি। এমনকী রুশ সফরের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয়দের নিয়ে কথা বলেছেন।" ভারতীয়দের রুশ সেনায় যোগদান নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জানান, "আমি মনে করি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতীয়রা বিভ্রান্ত হয়েছেন। অন্য কাজের কথা বলে তাঁদের রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগদান করানো হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, ফৌজে থাকা সকল ভারতীয়দের অব্যাহতি দিয়ে দেওয়া হবে।" কিন্তু কবে সকলে দেশে ফিরবেন তা খোলসা করেননি বিদেশমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, কয়েকটি রিপোর্টের দাবি, বেশ কয়েকজন ভারতীয় সিকিউরিটি হেল্পার হিসাবে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন। অভিযোগ, তাঁদের জোর করে রুশ সেনার সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে পাঠানো হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের সংঘর্ষস্থলে তাঁদের মোতায়েন করা হচ্ছে। জুলাই মাসে কাজাখস্তানে এসসিও সামিটে ভারতীয়দের নিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন জয়শংকর।