সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরায় সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে (Biplab Kumar Deb) একহাত নিলেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)।
সায়নীর গ্রেপ্তারির পরই টুইটারে রাজ লেখেন. ” খুনের চেষ্টার অভিযোগে যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষের এই গ্রেপ্তারি ইঙ্গিত দিচ্ছে কাপুরুষ মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন আর ত্রিপুরাতেও ‘খেলা হবে’।” এরপরই তিনি উল্লেখ করেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় পৌঁছলেই খেলা শুরু হয়ে যাবে। “নিজের বিদায়ের প্রহর গুনতে শুরু করে দিন বিপ্লব দেব”, লেখেন রাজ।
[আরও পড়ুন: হাত বেঁধে ২ কিশোরীকে পাচারের চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত খোদ ‘সৎ বাবা’, চলত যৌন হেনস্তাও ]
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় (Tripura) পৌঁছে গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সকাল দশটা বেজে পনেরো মিনিট নাগাদ আগরতলা বিমান বন্দরে নামেন তিনি। তার আগে আবার আগরতলা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়েই অভিষেক বলেন, “বিমানবন্দরে ব্যাগ ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। এসব করে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না। আমার সঙ্গে শত্রুতা থাকলে আমার গাড়ি উড়িয়ে দিন বোম মেরে। কিন্তু সাধারণ মানুষের উপর কেন এত রাগ? বিমানবন্দরে কেন এমন আচরণ?”
রবিবার দিনভর পূর্ব আগরতলা থানায় বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গাড়ি চাপা দিয়ে একজনকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ১০২ বি, ১৫৩, ১৫৩ এ অর্থাৎ জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে খবর। সায়নীর গ্রেপ্তারির পর থেকেই তপ্ত রাজনৈতিক মহল। ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তা ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে। দিল্লিতে অমিত শাহর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন ঘাসফুল শিবিরের নেতা-কর্মীরা। ত্রিপুরার পরিস্থিতিকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়েছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)।