কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: বিধাননগর (Bidhannagar) পুরনিগমের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে বাদ গেল বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত এবং আরও ৬ জনের নাম। ভোটের আগে তাঁদের সিংহ ভাগ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সে কারণেই নতুন ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের নতুন তালিকায় তাঁদের রাখা হয়নি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে বর্তমান প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, করোনা কালে কাজে গতি আনতেই এই পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিধাননগর পুরনিগমের ৪১টি ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরদেরই ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ভোটের আগে তাঁদের সরিয়ে দিয়ে কমিশনার নিয়োগ করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন মিটতেই আবার বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে প্রশাসকের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই সঙ্গে বাকি ওয়ার্ডগুলির জন্য কো অর্ডিনেটরদের যে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে পুরনো ৭ জনের নাম বাদ গিয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ বসু গত বছর করোনায় মারা যান। সে জায়গায় রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী তথা বিদায়ী মেয়র পারিষদ সদস্য দেবরাজ চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। বাকিদের ক্ষেত্রে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণই দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল।
বিধাননগর পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। যিনি ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর জায়গায় ওয়ার্ড কো -অর্ডিনেটর পদে সুপ্রিয় দত্ত নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য নাম হল ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেবাশিস জানা, তিনিও বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে পেতে পারেন রঞ্জন পোদ্দার। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর জায়গায় রত্না ভৌমিকের নাম প্রস্তবা হয়েছে। বিধাননগরেরই ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আর এক সব্যসাচী অনুগামী প্রসেনজিত সর্দারও বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁকে সরিয়ে দিনু মণ্ডলকে দায়িত্ব আনা হবে।
এছাড়া বিধাননগর পুরনিগমের রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনাথ ভাণ্ডারিকে সরিয়ে রতন মৃধাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সরানো হয়েছে। তাঁর ক্ষেত্রে শোনা গিয়েছিল, সব্যসাচী দত্ত দল ছাড়ার সময় তিনিও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি তৃণমূলে ফেরেন বলে খবর। এখন তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন। তাঁকেও সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিদায়ী ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকেও গ্রেপ্তার করুন’, দিল্লিতে সরকার বিরোধী পোস্টার বিতর্কে গর্জে উঠলেন রাহুল]
কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, করোনা এবং বর্ষার সময় কাজ করার জন্য দলের তরফে দ্রুত ওয়ার্ড কো অর্ডিনেটর নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। আঞ্চলিক নেতৃত্বের কাছ থেকে যে নামগুলি আসে সেই মতো প্রস্তাব গ্রহণ করে নতুন তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।