সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থান রাজনীতি কোন পথে এগোচ্ছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেই রাজ্যে সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা আয়কর বিভাগ। সূত্রের খবর, রবিবার সকাল থেকে রাজস্থানের রাজ্য পুলিশকে না জানিয়ে সিআরপিএফের সাহায্য নিয়ে একে একে গেহলট ঘনিষ্ঠ নেতা-বিধায়কদের বাড়ি এবং অন্যান্য ঠিকানায় হানা দিচ্ছে আয়কর বিভাগ।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৪ শহরের ১৮ জায়গায় হানা দিয়েছে আয়কর বিভাগ। যাদের ঠিকানায় আয়কর হানা চলছে তাঁদের মধ্যে গেহলট ঘনিষ্ঠ তিন কংগ্রেস নেতা এবং এক নির্দল বিধায়কও আছেন। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ছেলে বৈভব গেহলটের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর হোটেলে আয়কর দপ্তরের হানা। ওই হোটেলেই কংগ্রেসের কয়েকজন বিধায়ক এবং কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির দু’জন বিধায়ককে রাখা হয়েছিল। আয়কর হানার ফলে ওই হোটেল থেকে বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের ডাকা বৈঠকে পৌছাতে পারেননি, বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে এখনও পর্যন্ত ৯৫ জনের কাছাকাছি বিধায়ক পৌঁছেছেন। কংগ্রেসের দাবি, ১০৯ জন বিধায়ক তাঁদের সমর্থন করছে। অন্যদিকে, এখনও ১৬ জন বিধায়ক পাইলটের পাশে আছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও, আজ সকালেই পাইলট ঘনিষ্ঠ এক বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন।কংগ্রেসের দাবি, রাজস্থান সরকারের উপর কোনও সংকট নেই।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানের সংকটের মধ্যেই আরও এক রাজ্যে কংগ্রেসে ভাঙন, বিজেপির পথে ৭ বিধায়ক!]
এদিকে পাইলটকে দল থেকে বের করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। জয়পুরে কংগ্রেসের সদর দপ্তর থেকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পাইলটের ছবি। কংগ্রেস নেতা পি এল পুনিয়া ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন, পাইলট বিজেপিতে যোগ দিয়ে দিচ্ছেন। যদিও পরে নিজের বক্তব্য থেকে পিছিয়ে এসেছেন পুনিয়া। এদিকে পাইলট শিবির এখনও দাবি করে আসছে, তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না। আজ সকালেও পাইলটের এক ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন, শচীন পাইলট বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন না।
The post ধোঁয়াশা বাড়ছে রাজস্থানে! গেহলট ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার ঠিকানায় আয়কর হানা appeared first on Sangbad Pratidin.